অনলাইন ডেস্ক
অনেক শিশু তার বয়সী কিংবা ছোটদের মারধর করে। এটি শক্তিশালী অনুভূতি। তবে ছোটবেলা থেকেই এ জাতীয় আচরণ বন্ধ করা জরুরি। কারণ যদি এমন আচরণ বন্ধ করা না হয় তাহলে সন্তানের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ধীরে ধীরে আপনার সন্তান অমানবিক বা অসামাজিক হয়ে যেতে পারে। এটি তার বন্ধু মহল তৈরির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মনে রাখবেন, কোন শিশুই কিন্তু ইচ্ছা করে অন্য শিশুর প্রতি কঠোর বা নির্দয় আচরণ করে না। এই শিশুর আচরণ মূলত তৈরি হয় তার চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা থেকে। কোন শিশু যদি অবহেলিত বা অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ে তখন অন্য শিশুদের প্রতি এমন আচরণ করে। নয়তো নিজেকে আলাদা করে রাখে।
শিশুর এই জাতীয় আচরণ দেখলে কখনই হতাশ হয়ে তাকে কঠোর শাস্তি দেবেন না। তাহলে তার মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মত মিশে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। এজন্য কতগুলি টিপস মেনে চলতে পারেন-
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন: সন্তান যখন কঠিন আচরণ করে তখন সবার আগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। কেউ নালিশ করলে বা চোখের সামনে দেখলে রেগে যাবেন না। প্রয়োজনে সেখান থেকে কয়েক মুহূর্তের জন্য সরে যান। তারপর আর সন্তানের কাছে ফিরে এসে ঠান্ডায় মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুন।
কোমল কথাবার্তা: নিজেকে বলুন আমার সন্তানের নিখুঁত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর সন্তানের খারাপ আচরণ দেখে সকলের সামনে তাকে না বকাই শ্রেয়। পরে দুজনে ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি আলোচনা করবেন। এতে দেখবেন সমাধানের পথ অবশ্যই বের হবে।
শাস্তি দেবেন না: কথায় কথায় সন্তানকে শাস্তি দেবেন না। তবে সন্তানের ভুলটা অবশ্যই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিন। সন্তানকে শাস্তি দিলে বা লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
সন্তানকে পর্যবেক্ষণ করুন: সন্তানকে ভাল করে পর্যবেক্ষণ করুন। সন্তান কখন রেগে যাচ্ছে তা খেয়াল রাখার চেষ্টা করুন। সন্তানের আচরণের পরিবর্তন হওয়াটাকে খেয়াল করুন। নিজে একা একা সন্তানের চরিত্র বিশ্লেষণ করুন। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।
সহযোগিতা : সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান। খেলাধূলা করুন। অতিরিক্ত সময় দিলে তবেই দেখবেন সন্তানের উপকার হবে। সন্তানের পছন্দ আর অপছন্দ বোঝার চেষ্টা করুন।
সন্তানের জন্য সীমা নির্ধারণ করুন : আপনার হতাশা সন্তানের জন্য খারাপ হতে পারে। আর সেই কারণে সন্তানের জন্য একটি সীমা নির্ধারণ করুন। মনে রাখবেন, কারও সন্তানই নিখুঁত নয়। প্রত্যেকের মধ্যেই ভালো খারাপ থাকে। তাই সন্তানের যেটা ভাল সেটা সবার সামনে বিশেষ করে সন্তানের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করুন।
Discussion about this post