অনলাইন ডেস্ক
আজ বুধবার (১৭ মে) বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে এক আর্টিস্ট টকে একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল অপি করিম বলেন, পেশাগত জায়গা থেকে আমি নিজেকে স্থপতির পরিচয় দিতেই সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এটা আমার কাজ করার জায়গা। সেই সঙ্গে শিক্ষকতা খুবই পছন্দ করি। আর এরপর যদি বলি তাহলে হলো নাচ ,তারপর অভিনয়। অভিনয়ের মধ্যেও ভাগ আছে। যদি প্রাধান্য দেওয়া হয়, তবে মঞ্চনাটকে বেশি প্রাধান্য দেবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান ফিল্ম সোসাইটি তিন দিনব্যাপী সিনেমা উৎসব ‘একান্নবর্তী’র আয়োজন করে। যার দ্বিতীয় দিন বুধবারে (১৬ মে) অতিথি হিসেবে আর্টিস্ট টকে উপস্থিত ছিলেন অপি করিম।
অভিনেত্রী বলেন, আমি যখন অভিনয় শুরু করি, তখন আমার বয়স ছিল মাত্র আড়াই বছর। আমি কঞ্জারভেটিভ পরিবার থেকে উঠে এসেছি। সব পোশাক পরার অনুমতি পেতাম না। ছোটবেলায় একজন মাত্র ফ্রেন্ডের বার্থ-ডে পার্টিতে যেতে পেরেছি। যেহেতু আমি পেশায় একজন শিক্ষক, তাই চাইলেও সব কিছু করতে পারতাম না। পরিবারের সব সদস্য মিলে যাতে আমাদের কাজ উপভোগ করতে পারি, এদিকেই বেশি মনোযোগী ছিলাম।
পছন্দের চরিত্র সম্পর্কে অপি করিম বলেন, রক্তকরবীর নন্দিনী আমার খুবই পছন্দের একটা চরিত্র। আমার যতগুলো কাজের কথা বলি না কেন, তার মধ্যে নন্দিনী আমার সবচেয়ে পছন্দের চরিত্র। আমার মনে হয়, একটা বয়স পরে সব মেয়েরাই নিজের মধ্যে নন্দিনীকে ধারণ করে।
নিজের সফলতা নিয়েই এই তারকা বলেন, আমার কাছে সফলতার সংজ্ঞা খুবই আপেক্ষিক মনে হয়। সফলতা বলে আসলে কিছুই নেই। আমি যে কাজটা করতে চাই, সেটা আনন্দের সাথে করতে পারছি কিনা? আমার ভালো লাগছে কিনা? আমার পরিবার, বন্ধুদের ভালো লাগছে কিনা? এগুলোই আসলে বেশি জরুরি।
তিনি আরো বলেন, আমি এমন এক পরিবারে বেড়ে উঠেছি, যেখানে কেউ ‘ফার্স্ট হতে হবে’ বলে প্রেসার দেয়নি। সুতরাং ফার্স্ট হতে হবে এটা বিশ্বাস করি না। যে ছেলেটা ক্লাস ফাইভে ফেল করেছে, সে কখনো গণিতে পিএইচডি করবে না- এটা আমি বিশ্বাস করি না কখনো।
Discussion about this post