আমেরিকান একাডেমি অব অফথালমোলজির তথ্যমতে, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ১ থেকে ৩ শতাংশ রোগীর মধ্যে চোখ লাল হওয়ার উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
চোখ ওঠাকে কনজাংটিভাইটিস বলে। তাই বলে এখন এ সমস্যা হলে অবহেলা করা চলবে না।
এ সময় কারও যদি চোখ ওঠে বা চোখ লাল হয় এবং এর সঙ্গে জ্বর, ক্ষুধামন্দা, গলাব্যথা অথবা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকে, তাহলে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা জরুরি।
তাই বলে চোখ লাল হলে কিংবা চোখ উঠলেই আতঙ্কিত হলে চলবে না। সতর্ক থাকুন। নিজেকে পরিবারের অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন। চোখ লালের সঙ্গে ব্যথা ও দৃষ্টি কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ না থাকলে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ এবং চোখের লুব্রিকেন্ট ড্রপ ব্যবহারই যথেষ্ট।
সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে কিছু পরামর্শ :
চোখের পাওয়ার ও অন্য ছোটখাটো সমস্যার জন্য এ সময় চিকিৎসকের কাছে না যাওয়াই ভালো।এতে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ে। যতটা সম্ভব টেলিমেডিসিন ব্যবহার করে ছোটখাটো সমস্যার সমাধান করুন।
আপাতত যে চশমা ব্যবহার করছেন, সেটাই ব্যবহার করুন। চশমা ভেঙে গেলে চিকিৎসকের পুরোনো ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে বানিয়ে নিন।
গ্লুকোমা বা অন্য রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে। পরামর্শ নিতে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে টেলিফোনেই যোগাযোগ করুন।
এই মহামারির মধ্যেও চোখের চিকিৎসকের কাছে যাবেন কখন :
>>চোখে আঘাত পেলে, বিশেষ করে ভারী বা তীক্ষ্ণ কিছু দিয়ে আঘাত পেলে
>>চোখে তীব্র কোনো রাসায়নিক পড়লে। প্রথমে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর দ্রুত কাছেই অবস্থানরত চোখের চিকিৎসকের কাছে যান।
>>হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে
>>কোনো কারণে চোখে তীব্র ব্যথা হলে
>>অনেক দিন চোখে ছানি আছে, এমন বয়স্ক কারও হঠাৎ চোখ লাল হয়ে তীব্র ব্যথা হলে
Discussion about this post