বিনোদন ডেস্ক
দর্শক প্রশংসিত সিনেমা ‘আয়নাবাজি’। করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে বসেই এই সিনেমাটির ওয়েব সংস্করণ নির্মাণ করছেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী ও প্রযোজক জিয়াউদ্দিন আদিল জানান, প্রথমে তিন পর্বের এক্সক্লুসিভ কিছু করতে যাচ্ছেন তারা। তবে এটার সংখ্যা ও পরিধি আরও বাড়তে পারে। আর চলমান লকডাউনে ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় কাজটি করছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাবিলা আর পার্থ বড়ুয়ারা- সেটি একটি ভিডিও বার্তায় দেখালেন অমিতাভ রেজা।
অমিতাভ রেজা আরও স্পষ্ট করে বললেন, ‘আয়নাবাজি’র আয়না, হৃদি এবং ক্রাইম রিপোর্টার সাবেরকে নিয়ে আবারও একটা কিছু করার চেষ্টা করছি। একই নাম, চরিত্র আর গেটআপ ঠিক রেখে শুট করছি। দেখা যাক কী হয়।’
পরিচালক জানান, করোনাকাল বিবেচনা করেই তাদের এই উদ্যোগ। যার সঙ্গে রয়েছে এনজিও ব্র্যাক। মূলত, ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার তিনটি প্রধান চরিত্রকে নিয়ে মানুষকে সচেতন ও সাহস জোগানোর পরিকল্পনা থেকে এই ওয়েব সিরিজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রযোজক জিয়াউদ্দিন আদিল বলেন, আমরা চাইছি জনপ্রিয় এই চরিত্রগুলোর মাধ্যমে গল্পের রেশ ধরে মানুষকে আরেকটু সচেতন করার। মানুষের মনে একটু সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে, একটু স্বস্তি ফিরে এলেই আমাদের এই নির্মাণ সার্থক হবে।’
প্রযোজক আরও জানান, ‘ঘরে বসে আয়নাবাজি’ ওয়েব সিরিজের পর্বগুলো থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত। এক সপ্তাহের মধ্যে এগুলো উন্মুক্ত হবে ইউটিউব ও ফেসবুকে।
লকডাউনের মধ্যে শুটিং প্রক্রিয়া বা গেটআপ-মেকআপ-সম্পাদনা কীভাবে করছেন সেটিও জানালেন অমিতাভ রেজা। বললেন, সবই যার যার ঘরে বসে হচ্ছে। আমি কম্পিউটার প্যানেল নিয়ে নিজ ঘরে বসে শুরু করে দিলাম শুটিং। টিজারে দেখেতে পাবেন কীভাবে শুটিং করছি। এটা আসলে বেশ কষ্টসাধ্য একটা প্রক্রিয়া। বাট কিছু তো আর করার নেই।
এদিকে এ কাজটির মাধ্যমে সাড়ে তিন বছর পর ‘আয়নাবাজি’র একটা পুনর্মিলনী হচ্ছে বলে মনে করছেন আয়না চরিত্রের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। একই প্রতিক্রিয়া অন্য দুই চরিত্র নাবিলা (হৃদি) ও পার্থ বড়ুয়ারও (ক্রাইম রিপোর্টার)।
বুধবার (৬ মে) শুটিং চলতি ওয়েব সিরিজটির এক মিনিটের একটি টিজার অন্তর্জালে উন্মুক্ত হয়েছে। এতে উঠে এসেছে অমিতাভ রেজার নির্মাণ কৌশল ও প্রধান তিন শিল্পীর অংশগ্রহণের বিষয়টি।
Discussion about this post