মিফতাহুল জান্নাত। জন্ম বগুড়ায়। হাজার হাজার প্রতিবন্ধকতা পাড়ি দিয়ে আজ তিনি কোটি মানুষের অনুপ্রেরণা। তার জীবনের সব চেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা, তিনি জন্ম থেকেই অন্ধ। কিন্তু তিনি সেটাকেও জয় করেছেন। এইচএসসি পাশের পর ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য যখন বগুড়া থেকে ঢাকার গাড়িতে চড়বেন তখন তার বাবা তাকে স্টেশনে ফেলে যায়। অন্ধ জান্নাত অচেনা অজানা এক শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন একাই। বুকের সব কষ্ট চাপা দিয়ে নিজের অটল বিশ্বাসে অবিচল থাকলেন। ভাবলেন হেরে গেলে চলবেনা, জয়ী হতে হবে। জীবনের সকল অন্ধকার মাড়িয়ে আলো আনতে হবে। তিনি সফল হলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রকাশিত হলো জান্নাতের নাম। সেই অচেনা অজানা শহর থেকে আবার একাই রওনা দিলেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। অন্ধকার অলি গলি পেড়িয়ে বগুড়ায় পৌঁছে দিলেন যুদ্ধ জয়ের গল্প। গল্পটা এখানেই শেষ না। আরো অসংখ্য অধ্যায় রয়েছে এই গল্পে। তাকে জীবন যুদ্ধে অনুপ্রাণিত করার একমাত্র ব্যক্তিটি তার বড় বোন। তিনিও একজন গ্রাজুয়েট। বেদনার কথা তার বোনটিও জন্ম থেকেই অন্ধ। সংগ্রামী জীবনের আরেক দৃষ্টান্ত তিনি। অসম্ভব বুদ্ধিদীপ্ত তরুণী জান্নাত আমাদের লিবারেলের প্রতিবন্ধী পরিষদের সদস্য। শুদ্ধ শব্দ চয়ন আর বাচনে জান্নাত ১ লাখ সাধারণ ছেলেমেয়েকেও পিছনে ফেলে দিবে তা জোর দিয়েই বলা যায়।
লিবারেলের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারের মধ্যে জান্নাত অন্যতম । শ্যাডো পার্লামেন্টের নারী এমপি হিসেবে শীঘ্রই ঘোষণা আসছে জান্নাতের নাম। আমরা বিশ্বাস করি এদেশের প্রতিবন্ধীদের আইকন হিসেবে আগামী দিনের আলোক বর্তিকার নিদর্শন হয়ে হতাশাগ্রস্ত মানুষদের পথ দেখাবে জান্নাত। জান্নাতের জন্য শুভ কামনা। ভালোবাসা অফুরান।
Discussion about this post