শিক্ষার আলো ডেস্ক
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হয়েছে বুধবার (৩ জুলাই) থেকে। চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। প্রথম দিনের মূল্যায়নেই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়ে জরুরি বার্তা দিয়েছে এনসিটিবি।
বুধবার (৩ জুলাই) রাতে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মশিউজ্জামানের (রুটিন দায়িত্ব) সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান (রুটিন দায়িত্ব) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি নির্দেশনা বলা হয়, গতকাল থেকে প্রশ্নপত্রের আলোকে সমাধানও (কীভাবে কাজ করতে হবে) বাসায় বসেই শিখেছে শিক্ষার্থীরা। স্কুলে গিয়ে শুধু সেগুলো করে দিয়ে এসেছে তারা। এখানে প্রশ্নফাঁস হলেও সামগ্রিক ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নে কোনো সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুনঃ নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতির চূড়ান্ত অনুমোদন
এতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২-এর আলোকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ২০২৪ সালের ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ৩ জুলাই থেকে দেশব্যাপী একসঙ্গে শুরু হয়েছে। এই ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ‘মূল্যায়ন নির্দেশনা’ প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নের আগের দিনে নৈপুণ্য অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিজস্ব আইডিতে পাঠানো হচ্ছে।
যদিও এই ‘মূল্যায়ন নির্দেশনাসমূহ’ কোনো শিক্ষার্থী আগে থেকে জেনে গেলেও সামগ্রিক মূল্যায়ন কার্যক্রমে কোনো ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হবে না, তথাপিও পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগেই এই ‘মূল্যায়ন নির্দেশনাসমূহ’ কতিপয় প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে শেয়ার করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে, কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এবং সংস্থার মাধ্যমে এই ‘মূল্যায়ন নির্দেশনাসমূহের’ বিভিন্ন অসত্য, ভুল, অপ্রাসঙ্গিক এবং বিভ্রান্তিকর সমাধান ইউটিউব এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এই বিভ্রান্তিকর সমাধানসমূহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ব্যাপকভাবে বিভ্রান্ত করছে এবং মূল্যায়ন কার্যক্রম বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান/প্রধান শিক্ষকের নিজস্ব আইডিতে পাঠানো এই ‘মূল্যায়ন নির্দেশনাসমূহ’ বাইরের যে কারো সঙ্গে শেয়ার করা শিক্ষকতার নৈতিকতাবিরোধী কার্যক্রম এবং চরম অ-শিক্ষকসুলভ আচরণ। উল্লেখ্য, নৈপুণ্য অ্যাপের ইউজার আইডির মাধ্যমে এই ‘মূল্যায়ন নির্দেশনাসমূহের’ ডাউনলোড এবং বিস্তরণ কার্যক্রম ট্র্যাকিং করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে। এই ট্র্যাকিংয়ের আলোকে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে মূল্যায়ন নির্দেশনাসমূহ কোনো অপ্রাসঙ্গিক কমিউনিটি কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারের বিষয় প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ অবস্থায় মূল্যায়ন কার্যক্রমের ‘মূল্যায়ন নির্দেশনাসমূহ’ বিস্তরণের মতো এ রকম স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হওয়া এবং সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
এরআগে, ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সাধারণ কিছু ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
Discussion about this post