শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে ভারসাম্যহীন তরুণকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় জড়িতদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জানিয়েছেন ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ শাহবাগ থানায় এজাহার দায়ের করেন।এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম সাহাবুদ্দিন শাহীন।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেক কষ্টের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেখানে এ ধরনের ঘটনা আমাদের পুরো অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কেউ চুরি করতে আসলেও তাকে পিটিয়ে হত্যার অধিকার কারো নেই। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। ’
আরও পড়ুনঃ আর্থিক সহায়তা পাবেন আন্দোলনে নিহত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা
চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হওয়া ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল। তার বাড়ি বরিশালের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠাল তলি ইউনিয়নে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। জানা যায়, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন।
জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় বুধবার সন্ধ্যায় হলে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছিল। এই সময়, হলের ৬ জনের ৬টি মোবাইল ফোন সকালে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালীন চুরি হয়ে যায়।এর জের ধরে তোফাজ্জল নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে মূল ভবনের অতিথি কক্ষে নিয়ে তাকে মারধর ও জেরা কো হয়। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় সেই ব্যক্তিকে প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বুধবার রাতে শিক্ষার্থীদের একটি দল তাকে মারধরের পর মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুম সাত সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটিকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Discussion about this post