শিক্ষার আলো ডেস্ক
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দিন রাত বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। পরে মিছিলটি হল পাড়া-প্রশাসনিক ভবন-ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাইলে বাংলাদেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। দুই হাজারের অধিক শহীদ এবং হাজার হাজার আহতের রক্তের শপথ, আমাদের দেহে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দিব না। ভালো আর খারাপ আওয়ামী লীগ নাই। আওয়ামী লীগ মানেই কসাই, গণহত্যাকারী, খুনী।
এছাড়াও এদিন বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কমফোর্ট ইরো’র সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করা হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যের পর উত্তাল নেট পাড়াও। ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের চোখের সামনে শহীদের লাশগুলো এখনও জীবন্ত। এত রক্ত, এত কোরবানির পরও যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হয় জুলাইয়ের ছাত্রজনতা আবারও রাজপথ দখল করবে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘যেকোনও মূল্যে খুনি লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ফ্যাসিবাদী রাজনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য আবু সাঈদ, ওয়াসিম, শান্ত, আলী রায়হান, মুগ্ধ ও রিয়া গোপরা জীবন দেয় নাই।’
Discussion about this post