খেলাধূলা ডেস্ক
দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল এখন শঙ্কামুক্ত।রাতেই তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হবে।
দেশসেরা ওপেনারের সুস্থতার জন্য দেশ ও বিদেশের অনেকেই প্রার্থনা করছেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা তামিম ইকবালের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন অনেকেই। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বর্তমান ক্রিকেটার এমনকি আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্সও বাদ যায়নি।
গতকাল সাভারের বেগম ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে (বর্তমান কেপিজে হাসপাতাল) রিং পরানোর পর ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তামিমকে। রাতে তার অবস্থা ছিল স্থিতিশীল। তবে আজ সকালে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে কিছুটা হাঁটার চেষ্টাও করেছেন তিনি। কিছু সময়ের জন্য কেবিনে গিয়ে তাকে দেখে এসেছেন তার স্বজনরা।
এদিকে তামিমের চিকিৎসার খোঁজ নিতে দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক ডা. মোঃ আবু জাফর যান সাভারের কেপিজে হাসপাতালে। তিনি জানান, তামিম এখন শঙ্কামুক্ত। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিন মাস পরেই খেলায় ফিরতে পারবেন তামিম।
তামিমের ডিপিএল ক্লাব মোহামেডানের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তামিমের অবস্থা ঠিক থাকলে সন্ধ্যা বা রাতের দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। জানা গেছে, প্রয়োজনে থাইল্যান্ডে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
এর আগে গতকাল খেলা শুরুর আগে বুকে ব্যথা অনুভব করায় বিকেএসপির কাছেই বেগম ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এনজিওগ্রাম করে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তামিম। তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। হাসপাতাল থেকে তামিমকে ঢাকায় আনার চেষ্টা করা হয় হেলিকপ্টার যোগে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তা করা যায়নি।
হার্ট অ্যাটাকের পর তামিমের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়েছিল। হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। যে কারণে তাকে ২২ মিনিট ধরে সিপিআর এবং ৩ বার ডিসি শক দিতে হয়েছে। তামিম যে পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তার ফেরার সম্ভাবনা ছিল একেবারেই ক্ষীণ। খুব কম রোগীই সেখান থেকে ফিরে আসতে পারেন। পরে ওই হাসপাতালেই তার হার্টে রিং পরানো হয়।
তামিম যে পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তার ফেরার সম্ভাবনা ছিল একেবারেই ক্ষীণ। খুব কম রোগীই সেখান থেকে ফিরে আসতে পারেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ক্লাব মোহামেডানের এক কর্মকর্তা। ক্লাবের আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তামিম আসলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। আল্লাহর রহমতে তিনি মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসেছেন। এভাবে ফিরে আসেন হাজারে একজন। ‘
হার্টে রিং পরানোর পর তামিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। জ্ঞানও ফেরে দ্রুতই। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তামিম কথা বলতে পারছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। বিকেলে তাকে দেখতে গিয়ে কথা বলেন তার মোহামেডান ও জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের সতীর্থ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আজ তামিমকে দেখতে গেছেন সাকিবের বাবা-মা।
Discussion about this post