সৈয়দ শামছুল হুদা
বর্তমান বিশ্বে একটি চমৎকার শ্লোগান হলো নারী স্বাধীনতা। নারীদের সমান অধিকার। কথাগুলো শুনতে খুবই আকর্ষণীয় মনে হয়। মনে হয় বিশ্ব বিজয়ের হাতছানি দিচ্ছে আমাদেরকে। আজকের আধুনিক যুগ নারীদেরকে কতটা স্বাধীনতা দিয়েছে, কতটা সমান অধিকার দিয়েছে আর কতটা ঠকিয়েছে তা নিয়ে আমরা সামান্য চিন্তারও সুযোগ পাই না। প্রগতিশীল সমাজের একটি বৃহৎ অংশ নারী স্বাধীনতা বলতে ইসলামের কতিপয় বিধি-বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শনকেই বুঝায়। কে কতটুকু এই সীমা লংঘন করে বেরিয়ে আসতে পারে সেই প্রেসক্রিপশন নিয়ে বসে আছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে কতিপয় মানুষ। ইসলাম নারীদেরকে যতটুকু অধিকার দিয়েছে, যতটুকু স্বাধীনতা দিয়েছে, সবচেয়ে বড় কথা যতটুকু সম্মান দিয়েছে সেটাকে বাস্তবতার নিরিখে কেউ যাচাই করে দেখে না। ইসলাম প্রদত্ত অধিকার, স্বাধীনতা এবং সম্মানের জায়গাটুকুকে বিতর্কিত করতে বিধানের আংশিক দিকটা নিয়ে আলোচনা করে, পূর্ণাঙ্গ দিক বিবেচনায় নেয় না। ফলে একপ্রকার ধূম্রজাল তৈরী হয়।
আজকের তথাকথিত আধুনিক চিন্তাবিদরা নারীদেরকে তাদের পৈর্তৃক সম্পত্তি প্রাপ্ত সম্পদ নিয়ে কথা বলে, নারীদেরকে ইসলামের শালীণ পোশাক পরার বিধান নিয়ে কথা বলে, গৃহে অবস্থানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে কথা বলে, নারীদের ওপর পুরুষের কর্তৃত্ব বা প্রাধান্য দেওয়া বিষয় নিয়ে কথা বলে। কিন্তু ইসলাম নারীদেরকে কতটুকু সম্মান দিয়েছে, তাঁর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ও নিরাপত্তার বিষয়ে ইসলাম কতটা জোর দিয়েছে সে বিষয়ে কথা বলে না। ইসলাম একজন নারীর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টির যে সুরক্ষা দিয়েছে সে সম্পর্কে কথা বলে না।
কিছু মানুষ কর্মক্ষেত্রে নারীদের পাশে পেতে চায়, কিছু মানুষ বিবাহ বহির্ভূত নারী সঙ্গ পেতে চায়, কিছু মানুষ নারীদের দায়িত্বমুক্ত ভোগ্যপণ্য হিসেবে কাছে নিতে চায়, কিছু মানুষ নারীদের শারীরিক দুর্বলতার সুযোগ নিতে চায়। ইসলাম এ সকল সুযোগ সীমিত করে দিয়েছে। ইসলামের যে সকল বিধি-বিধানের কারণে নারীদেরকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে কাছে পেতে সমস্যা, নারীদের শারীরিক দুর্বলতার সুযোগ নেওয়া বা অবাধ মিশ্রনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, অন্তরায় সৃষ্টি করে সে সকল বিধি-বিধানের ওপরই আজকের নারীবাদী পুরুষরা ক্ষিপ্ত। পুরুষতান্ত্রিক বলে তারা মনের ঝাল মেটায়।
নারী এবং পুরুষের মধ্যে ¯্রষ্টা এক গভীর সম্পর্ক দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সম্পর্কটা স্পর্শকাতর। আর তাই ইসলাম নারীদেরকে পুরুষের সাথে এমনভাবে সম্পর্কটা বিন্যাস করে দিয়েছে যাতে কোন সময়েই নারীর কোন প্রকার ক্ষতির কারণ না হয়। শিশুকালে ইসলাম নারীদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। একই সময়ে ছেলে এবং মেয়ে জন্ম নিলেও মেয়েদের প্রতি ইসলাম বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। বলা হয়েছে- রাসুল সা. ইরশাদ করেন : “ যে ব্যক্তির কন্যা সন্তান রয়েছে, যাকে পুঁতে ফেলা হয়নি, তাচ্ছিল্যভাবে প্রদর্শন করা হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে কন্যা সন্তানের ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়নি, আল্লাহ তায়ালা সে ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” ( ইমাম হাকিম ঃ মুসতাদরাক, ৪/১৭৭) এভাবে জন্মের পরপরই নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছ। অতঃপর বয়োঃসন্ধির সাথে সাথে তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করা। তাদেরকে উত্তমভাবে লালন-পালন করতে পুরুষের ওপর আবশ্যক করে দিয়েছে। রাসুল সা. ইরশাদ করেন : “ যে ব্যক্তি আমরণ দু’ বা তিন কন্যা অথবা দু’ বা তিন বোন প্রতিপালন করলো, আমি এবং সে অত্যন্ত কাছাকাছি থাকবো এবং মধ্যমা ও তর্জনী আঙ্গুলদ্বয় ইঙ্গিত করে দেখালেন। ” (মুসনাদে আহমদ, ৩/১৪৭) এ হাদীসে কন্যা সন্তানের উত্তম ভরণ-পোষণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। অত:পর তারা যখন বিবাহযোগ্য হয় তখন তাদের ব্যাপারে ইসলাম আরো সুন্দর কথা বলেছে। সুরা রূমের ২১নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন : “ আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গিনীদেরকে, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” এভাবে অসংখ্য আয়াত, হাদীস এবং নবী জীবনের বাস্তব অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে নারীদের মর্যাদার সুরক্ষা।
নারী এবং পুরুষের সম্পর্কটা খুব গভীর। বিবাহের মাধ্যমে একজন পুরুষ তার আত্মার শান্তি খুঁজে পায় নারীর কাছে। নারী এবং পুরুষের মধ্যে এমন এক গভীর হৃদ্যতা তৈরী করে দেওয়া হয়েছে যা তথাকথিত নারী স্বাধীনতার মধ্যে নেই। পবিত্র কুরআনে পরিস্কার ভাষায় ইরশাদ হয়েছে; “পুরুষরা নারীদের কর্তা, কারণ আল্লাহ তায়ালা তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং এজন্যে যে, পুরুষ তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে। কাজেই পুণ্যশীলা স্ত্রীরা অনুগতা এবং লোকচক্ষুর আড়ালে আল্লাহর হেফাজতে তারা হেফাজত করে। আর স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা বর্জন কর এবং তাদেরকে প্রহার কর। যদি তারা তোমাদের অনুগত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অন্বেষণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, মহান। ( সুরা নিসা-৩৪)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা ড. আবু বকর মো. যাকারিয়া দা.বা বলেন – দু’টি ন্যায়সঙ্গত ও তাৎপর্যের প্রেক্ষিতেই পুরুষদেরকে নারীদের পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রথমত : পুরুষকে তার জ্ঞানৈশ্বার্য ও পরিপুর্ণ কর্মক্ষমতার কারণে নারী জাতির উপর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যা অর্জন করা নারী জাতির পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। দৈবাৎ কিংবা ব্যাক্তিবিশেষের কথা স্বতন্ত্র। দ্বিতীয়ত: নারীর যাবতীয় প্রয়োজনের নিশ্চয়তা পুরুষরা নিজের উপার্জন কিংবা স্বীয় সম্পদের দ্বারা বিধান করে থাকে। মোটকথা: ইসলাম পুরুষকে নারীর নেতা বানিয়েছে। নারীর কর্তব্য হচ্ছে. স্বামীর আনুগত্য করা, স্বামীর পরিবারের প্রতি দয়াবান থাকা, স্বামীর সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করা। স্বামীর পক্ষ থেকে খরচ ও কষ্ট করার কারণে আল্লাহ স্বামীকে স্ত্রীর উপর প্রাধান্য দিয়েছেন।
স্ত্রীদের উপর শাসন করার বিষয়ে বলা হয়েছে, যেসব স্ত্রীলোক স্বামীদের আনুগত্য করে না, কিংবা যারা এ ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করে। আল্লাহ তায়ালা সংশোধনের জন্য পুরুষদেরকে এক্ষেত্রে যথাক্রমে তিনটি উপায় বাতলে দিয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে তাদের সংশোধন হলো : নরমভাবে তাদের বুঝানো। যদি তাতেও বিরত না হয়, তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে তাদের বিছানা নিজের থেকে পৃথক করে দেওয়া। যাতে এই পৃথকতার দরুন সে স্বামীর অসন্তুষ্টি উপলব্ধি করে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হতে পারে। তারপরও যদি সংশোধন না হয় তাহলে মৃদুভাবে প্রহার করা, যাতে কোন প্রকার যখম না হয়। কিন্তু এই পর্যায়ের শাস্তি দানকেও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করেননি, বরং তিনি বলেছেন : “ভালো লোক এমন করে না।” ( ইবনে হিব্বান ঃ ৯/৪৯৯, নং- ৪১৮৯) আবু দাউদ : ২১৪৬)
এখানে খুব পরিস্কার হয়ে গিয়েছে যে, ইসলাম যে পুরুষকে পারিবারিক প্রধান বানিয়েছে এটা একটি বাস্তবসম্মত বিধান। নতুবা পরিবারে বিশৃংখলা নেমে আসবে। যদি পরিবারে শান্তি শৃংখলা না থাকে, তাহলে সেই সমাজেও শান্তি থাকবে না। রাষ্ট্রেও না। ইসলাম নারী ও পুরুষের গঠন কাঠামোর কারণে কর্মক্ষেত্র নির্বাচনের ব্যাপারেও সুস্পষ্ট নীতিমালা দিয়েছে।
আজকের সমাজে নারী স্বাধীনতা বলতে সকল ক্ষেত্রে নারী পুরুষ সমতা বিধানকে বুঝায় না। নারী স্বাধীনতা বলতে ইচ্ছেমতো ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়া, কারো অনুমতির তোয়াক্কা না করে যে কোন অনুষ্ঠানে গিয়ে সময় যাপন করা ইত্যাদি বুঝায়। নারী এবং পুরুষের সমান ভরণ-পোষণ, আবাসন, শ্রম বিভাজন ইত্যাদিতে নারী স্বাধীনতা বুঝায় না। সদ্য বিবাহিত একজন নারী এবং পুরুষ কখনই তথাকথিত নারী স্বাধীনতার দাবীদারদের কথামতো সমান ক্ষমতা, সমান অধিকারভোগ আর সমান কর্তৃত্ব দেখাতে সক্ষম নয়। শারীরিক গঠনগত কাঠামোর কারণে একই প্রকার স্বাদ এবং সঙ্গ উপভোগ করার দুদিন পরেই নারী গর্ভধারণ করে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাকে চরম কষ্ট ভোগ করতে হয়। এক্ষেত্রে সমান অধিকার তার কী কাজে আসবে? এ অবস্থায় একজন নারী সম্পুর্ণরূপে পুরুষের সহানুভূতি এবং দয়ার উপর নির্ভরশীল হয় পড়ে।
নারীদের মুক্তি কোন পথে সেটা আমাদের বের করতে হবে। আমি মনে করি, একজন নারীর জন্য সমান অধিকারের চেয়ে বেশি প্রয়োজন তার সম্মান এবং মর্যাদার সুরক্ষা দেওয়া। আজকের কথাকথিত আধুনিক নারীরা পারিবারিকভাবে অনেকেই শান্তিতে নেই। একদিকে এই স্বাধীনতার জিগির তুলে সম্মান পাওয়ার জায়গাটা হারিয়েছে, অন্যদিকে নিজের কাঁধে আরো বেশি বোঝা আরোহন করেছে।
ইসলাম বলেছে- যেই পুরুষ তাঁর স্ত্রীর কাছে ভালো, সেই প্রকৃত ভালো। ইসলাম বলেছে- মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত। ইসলাম বলেছে পিতার তুলনায় মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব তিনগুণ। ইসলাম পিতার সম্পত্তিতে মেয়েদেরকে বাহ্যিকভাবে সম্পদে ভাইয়ের তুলনায় অর্ধেক নির্ধারণ করলেও পরোক্ষভাবে নারীকে অনেক বেশি সম্পদের ভাগ দিয়েছে। শিশু ও কৈশোর জীবনে মেয়েদের ভরণ-পোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব পিতা বা ভাইদের উপর। বিবাহিত জীবনে নারীর সম্পুর্ণ দায়িত্ব পুরুষের বা স্বামীর। আর বৃদ্ধাবস্থায় মায়ের অধিকার কতটুকু তা শুধু এতটুকু থেকেই বুঝা যায় যে, সন্তানের বেহেশত মায়ের পদতলে। মায়ের অধিকার পিতার তুলনায় তিনগুণ। সুতরাং ইসলাম একজন নারীর আমৃত্যু অধিকার নিশ্চিত করেছে। কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় ইসলামের দেওয়া সম্মানটুকু পালন করা হয় না। এর দায় আমাদের সমাজের, রাষ্ট্রের। ইসলামের না। আজকের পাশ্চাত্য শক্তি আমরা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার অনুসরণ না করার কারণে নারীদেরকে তথাকথিত স্বাধীনতার শ্লোগান শিক্ষা দিয়েছে। এর ফল নারীকে ভোগ করতে হচ্ছে। নারীকে ঘর থেকে বের করেছে বটে, কিন্তু প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা হারিয়েছে।
ইসলাম নারীদেরকে যে মর্যাদা দিয়েছে, যে অধিকার দিয়েছে, পৃথিবীর আর কোন ধর্ম, মতবাদ সেই স্বাধীনতা দেয়নি, মর্যাদা দেয়নি। নারীর শারীরিক প্রকৃতির জন্য যে ধরণের সম্মান, মর্যাদা তার জন্য উপযোগী সেটাই নিশ্চিত করেছে। পুরুষের সাথে নারীর শারীরিক যেমন পার্থক্য আছে, তেমনি তার কর্মক্ষেত্র, তার চাল-চলন, পোশাক-পরিচ্ছদেও স্বাতন্ত্রধারা বজায় রেখেছে। এটাকে অস্বীকার করা মানে প্রকৃতিকে অস্বীকার করা। ৮মার্চ নারী অধিকার দিবস। ১৯১১সাল থেকে এ দিবস পালন করে আসা হচ্ছে। কিন্তু আজও কী নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্তরায় হিসেবে ধর্মকে কেউ কেউ বাধা মনে করে। প্রকৃতপক্ষে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক দাসত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিই দায়ী। নারীর স্বাতন্ত্রকে অস্বীকার করার মানসিকতাই দায়ী। সৃষ্টিগতভাবেই দুটি ধারা। এটাকে কখনই এক পাল্লায় মাপা যাবে না। মহান ¯্রষ্টা এ দুটি সৃষ্টির মধ্যে গভীর হৃদ্যতার বীজ বপন করে পৃথিবীকে আবাদযোগ্য রাখার জন্য যে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটাকে অস্বীকার করার পরিণতি কখনোই কল্যাণজনক হতে পারে না। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার বিখ্যাত “নারী” কবিতার শুরুতে বলেন :
“সাম্যের গান গাই
আমার চক্ষে পুরুষ-রমনী কোন ভেদাভেদ নাই
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”
এরদ্বারাও প্রমাণিত হয়, নারী এবং পুরুষ মিলে মিশে জগত সংসারকে সুন্দর করে তুলেছে। কেউ কারো শত্রু নয়, কেউ কারো প্রতিদ্বন্ধি নয়। যার যার কর্মক্ষেত্র আলাদা। সৌন্দর্য বিকাশের জায়গাটা আলাদা। এই দুই মিলেই পৃথিবীর সৌন্দর্য। নারী এবং পুরুষের ভালোবাসার মধ্যেই এই সুন্দর পৃথিবীর বিকাশ। নতুবা সর্বনাশ।
Discussion about this post