নিজস্ব প্রতিবেদক
ছোট বেলা থেকেই দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে বড় হয়েছে বৃষ্টি । পড়ার জন্য ছিল না টেবিলও। তবুও হাল ছাড়েনি তিনি। কঠোর পরিশ্রম করেছে, করেছে সংগ্রাম। অবশেষে পেয়েছে পরিশ্রমের ফসল, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে সে।
সে ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ থেকে ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে। ২০১৮ সালে সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
বৃষ্টির বাবা বিশ্বজিৎ সরকার ফরিদপুর শহরে এক চালের দোকানের সাধারণ কর্মচারী। আর মা দর্জির কাজ করেন। তাদের কষ্টার্জিত টাকা দিয়েই পড়ালেখা করেছেন বৃষ্টি।
বৃষ্টির বাবা বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, আমি ফরিদপুর শহরে এক চালের দোকানের সাধারণ কর্মচারী। মালিকের কাছ থেকে যে টাকা পাই তাই দিয়ে চলে আমার চার সদস্যের টানাটানির সংসার। বৃষ্টির মা গীতা রানী দর্জির কাজ করে কিছু টাকা আয় করেন এবং এ দিয়েই বৃষ্টির পড়ার খরচের যোগান দেয়।
নিজের সাফল্যে অভিভুত বৃষ্টি বলে, পড়ার ইচ্ছা থাকলে অভাব কোনো বাধা নয়। আমি আমার কলেজ শিক্ষকদের কাছ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখেছি। আমার সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি আমার শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও প্রণাম জানাই। পাশাপাশি দেশবাসীর কাছে আশীর্বাদ চাই।
বৃষ্টির স্বপ্ন বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হওয়ার।
Discussion about this post