বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রকৌশল এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা অনুষদে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মুহাম্মদ সাদাত হোসেন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১২ হাজার ১৬১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ জন ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ তালিকায় স্থান পায়। তিন ধাপে যাচাই-বাছাইয়ের পর এদের মধ্য থেকে ১ হাজার ৬০ জনের বুয়েটে ভর্তির সুযোগ হয়।১৪ অক্টোবর ২০১৯ বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সে ঐতিহ্যবাহী ঢাকার সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।এসএসসি এবং এইচএসসি দুটোতেই জিপিএ-৫ ছিল সাদাতের।পিতা ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং মা শাহানা বেগম এর বড় সন্তান সাদাত হোসেন।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা যেদিন শুরু, ঠিক তার আগের দিন জন্ডিস ধরা পড়ে তার। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার বলেই দিলেন, ‘এ বছর পরীক্ষাটা না দিলে হয় না?’জন্ডিসে কাবু হয়েও সাদাত কিন্তু ঠিকই পরীক্ষা দিয়েছিলেন। নইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে প্রথম অবস্থানে হয়তো সাদাতের বদলে অন্য কারও নাম থাকত!
বুয়েটে পড়ার ইচ্ছের জন্মও হয়েছিল ওই নটর ডেম প্রাঙ্গণেই। স্কুলে পড়ার সময় জীবনের লক্ষ্য নিয়ে সাদাত খুব একটা ভাবেননি। কেউ যখন জিজ্ঞেস করত, ‘বড় হয়ে কী হতে চাও?’ সাদাত যা ইচ্ছে একটা কিছু বলে দিতেন, মনে যখন যা আসে। কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার পর দেখলেন, আশপাশের সবার গণিত আর পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি বেশ আগ্রহ। ব্যাস, সাদাতও মনে মনে ঠিক করে ফেললেন, বুয়েটে পড়বেন, প্রকৌশলী হবেন। প্রকৌশলী হয়ে দেশের জন্য একটা কিছু করার আগ্রহের কথাও বললেন তিনি।
‘ছোটবেলা থেকে সাদাত অঙ্কে খুব ভালো। ফাইনাল পরীক্ষা কখনো ১০০-র কম পায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফলাফলে ও সাদাতের অবস্থান ছিল ৩৪তম। এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচ ইউনিটে প্রথম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিটে ১১তম এবং ঘ ইউনিটে ৪২তম, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ভর্তি পরীক্ষায় সাদাত ৫ম হয়েছিল।’
Discussion about this post