নিজস্ব প্রতিবেদক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকার যে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কথা ভাবছে, সে পদ্ধতিই অনুসরণ করবেন ববৈশ্বিক মহামারির করোনার মধ্যে ভর্তিচ্ছুদের দুর্ভোগ এড়াতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকার যে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কথা ভাবছে, সে পদ্ধতিই অনুসরণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা ইতিবাচক। যেহেতু এ বছর বিশেষ একটা পরিস্থিতি, সেজন্য যানজট ও পরিবহনের চিন্তা করে ঢাবির পরীক্ষা বাংলাদেশের সব জায়গায় হবে। অতএব পরীক্ষাটা সম্মিলিতভাবে সবাই একদিনে নিয়ে নিলেই তো হয়ে যায়।”
উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, “আমাদের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় সদরেই আছে। ঢাবির সিদ্ধান্ত যদি সবাই মেনে নিই, সব শহরে একদিনে পরীক্ষা হবে; এ পরীক্ষার ফলাফলই সবাই গ্রহণ করবে, তাহলেই তো ঘটনাটা শেষ হয়ে যায়।”
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে তিনটি ইউনিটে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন নিয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। পরে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফল অনুযায়ী প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে প্রতি ইউনিটে বাছাইকৃত ২৫ হাজার শিক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় বসেছিলেন। দেড় ঘণ্টার ৭২ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি এসএসসির ১২ ও এইচএসসির ১৬ মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে ২৭৬৫ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও ২০০ নম্বরের পরিবর্তে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ধরণ নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “যখনই পরীক্ষা হোক, তা উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসের উপর হবে। কমন সাবজেক্ট যেগুলো, সেগুলো নিয়ে হবে।
উপাচার্য বলেন, তিন বিভাগের তিনটা পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা নিয়ে প্রত্যেককে স্কোর দেওয়া হবে, একশর মধ্যে কত পেল। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের শর্ত অনুযায়ী তাদের ভর্তি করবে। শর্ত দিয়ে, বিজ্ঞাপন দিয়ে যার যার মতো করে অনলাইনে ভর্তি করে ফেলবে।
মূল্যায়নের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল যোগ হবে কিনা, তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান অধ্যাপক মীজানুর রহমান।
Discussion about this post