শিক্ষার আলো ডেস্ক
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সকল সরকারী ও বেসরকারী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির আবেদন বিজ্ঞপ্তি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর www.dghs.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রকাশ হবে। আজকে আমরা মেডিকেল ভর্তির আবেদন যোগ্যতা , আবেদর প্রক্রিয়া ও অন্যান্য বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করব।
মেডিকেল ভর্তি
প্রার্থীগন অনলাইনে মেডিকেল ভর্তি নীতিমালা ২০২০ অনুসারে আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এবারও ভর্তির আবেদনের যোগ্যতা এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে মোট জিপিএ-৯ নির্ধারণ করা হয়েছে ।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ এবং সময়সূচী |
---|
|
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা
বাংলাদেশের নাগরিক শিক্ষার্থী যারা ইংরেজি ২০১৭ বা ২০১৮ সনে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় এবং ইংরেজি ২০১৯ বা ২০২০ সনে এইচএসসি বা সমমানের উভয় পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন ও জীববিদ্যাসহ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা ভর্তির আবেদন করার যােগ্য হবেন। ২০১৭ সনের পূর্বে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীরা আবেদনের যােগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। সকল দেশী ও বিদেশী শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান দুটি পরীক্ষায় মােট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে । সকল উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় মােট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ হতে হবে। তবে এককভাবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০-এর কম হলে আবেদনের যােগ্য হবেন না।
সকলের জন্যে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে (Biology) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন
১০০ (একশত) নম্বরের ১০০ (একশত)টি এমসিকিউ প্রশ্নের ১ (এক) ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়ের নাম | নম্বর |
জীববিজ্ঞান | ৩০ |
রসায়ন | ২৫ |
পদার্থ | ২০ |
ইংরেজি | ১৫ |
বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি | ৬ |
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী | ৪ |
মোট নম্বর | ১০০ |
২০২০ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমােট | (Aggregated) নম্বর (এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ১৫ গুণ+এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ২৫ গুণ+ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর) থেকে ০৫ (পাচ) নম্বর কর্তন করে এবং পূর্ববর্তী বৎসরের সরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট-এ ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মােট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০৭.৫ (সাত দশমিক পাঁচ) নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।
পাশ নম্বর
লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম নম্বর প্রাপ্তরা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন। শুধুমাত্র কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
জিপিএ- এর উপর নম্বর
এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মােট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে নিম্নলিখিতভাবে মূল্যায়ন করাহবে :
ক) এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ১৫ গুণ=৭৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)
খ) এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ২৫ গুণ=১২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)
লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্তনম্বরের যােগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
Discussion about this post