১৫ অক্টোবর ২০১৯ এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করে রাগীব নূর। তার টেস্ট স্কোর ৯০.৫০।
গত ১১ অক্টোবর সারাদেশে একযোগে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে ১০ হাজার ৪০৪ আসনের বিপরীতে অংশ নেন ৬৯ হাজার ৪০৫ জন।
আর সেই ৬৯ হাজার ৪০৫ জনকে হারিয়ে প্রথম হয়েছেন রাগীব নূর। রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন রাগীব।এসএসসিতে দিনাজপুর বোর্ডে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিলেন রাগীব।
ভর্তি পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী তৌফিকা রহমান নেহার বাড়ি সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড় এলাকায়। সে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শেখ হাফিজুর রহমানের ছোট মেয়ে। দুই ভাইবোনের মধ্যে ছোট নেহা। বড় ভাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করেছেন। মা নাজমা সুলতানা গৃহিনী।
তিনি সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৯।
এছাড়া মেধা তালিকায় ৩য় স্থান অধিকার করেছেন রাজধানীর ডেমরার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পাশ করা সুইটি সাদেক। তার টেস্ট স্কোর ৮৫.৫০।
সুইটি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার সাদেক আলী ও খালেদা বেগমের সন্তান।
উল্লেখ্য, এবারের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে ১০ হাজার ৪০৪ আসনের বিপরীতে অংশ নেয়া ৬৯ হাজার ৪০৫জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪১৩ জন। এদের মধ্যে মেয়ে ২৬ হাজার ৫৩১ জন। ছেলে ২২ হাজার ৮৮২ জন।
রাগীব নুর তার অভাবনীয় সাফল্যে মা-বাবাসহ মেডিকেল কোচিংয়ের শিক্ষক, বড় ভাই ও সহপাঠীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। রাগীবের মতে, সবার উচিত এইচএসসি পরীক্ষার জন্য বসে না থেকে একটু একটু করে দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নেওয়া। এটাই তাকে সফলতা এনে দেবে। ভবিষ্যতে সে ভালো চিকিৎসক হয়ে মানবতার সেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চান।
তবে শুধু পড়ালেখা করলেই হবে না বলে জানান মেধাবী রাগীব। তার ভাষ্য মতে, পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলাও করতে হবে। রংপুর ক্যাডেট কলেজে থাকা অবস্থায় সে নিয়মিত বাস্কেট বল খেলত। খেলাধুলা করলে মন ফ্রেশ থাকে এবং পড়াশোনা ভালো হয়।
ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানবতার সেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চান এই তিন সেরাদের সেরা।
Discussion about this post