ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে পড়ার স্বপ্ন আছে প্রায় প্রতিটি কওমি পড়ুয়া তরুণের। কিন্তু আজকাল ভিসা বা এ সংক্রান্ত জটিলতায় অনেক তরুণই তাদের স্বপ্নপূরণে ব্যর্থ হন।
বিশ্ববিখ্যাত এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসায় দেওবন্দ পৌঁছার চেষ্টা করেন। তবে এখন থেকে আরও কোনো রকমে দেওবন্দে পৌঁছালেই সেখানে পড়ার সুযোগ পাবেন না আগ্রহীরা। এর জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে তাদের।
যেভাবে পেতে পারেন দেওবন্দে পড়ার সুযোগ–
দারুল উলুমে ভর্তি হতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঢাকায় থাকা ভারতীয় দূতাবাস থেকে ‘স্টাডি ভিসা’ নিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘টুরিস্ট ভিসা’ নিয়ে গিয়ে দারুল উলুমে ভর্তি হওয়া যাবেই না।
ভিসা পেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা এনওসি দেবে দারুল উলুম। তবে এক্ষেত্রে পড়তে আগ্রহীদের মধ্যে যারা বাবার নাম, ডাকঘরের পূর্ণ ঠিকানা, পাসপোর্টের কপি, দারুল উলুম দেওবন্দে যে ক্লাসে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তার তথ্য ইত্যাদি সরবরাহ করলে এনওসি মিলবে।
বিদেশি শিক্ষার্থীরা কেবল আরবি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি এবং দাওরা অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। এক্ষেত্রে আগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তবে তারও আগে আগের মাদরাসাগুলো থেকে পাওয়া চারিত্রিক সনদ দেখাতে হবে।
দারুল উলুমে শিক্ষার ভাষা উর্দু। এক্ষেত্রে যেসব শিক্ষার্থী কাজ চালানোর মতো উর্দু জানবেন, তারা অগ্রাধিকার পাবেন।
দারুল উলুম বিনামূল্যে শিক্ষা, থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। এক্ষেত্রে কোনও শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক টাকাও নেওয়া হয় না।
বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী দারুল উলুমে পড়তে যাবে স্টুডেন্ট ভিসার পাশাপাশি মাওলানা ক্বারি আব্দুল খালিক (জামিয়া হুসাইনিয়া, আর্জাবাদ, মিরপুর, ঢাকা) বা মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমির (মাদরাসা বারিধারা) দেওয়া পত্র বা চিঠি নিয়ে যেতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদনপত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে এবং ভর্তির আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদের মূলকপি দেখাতে হবে।
দারুল উলুম দেওবন্দ কোনও দূর-শিক্ষা বা অনলাইন কোর্স চালায় না। সুতরাং সে পথে শিক্ষার্থীদের না যাওয়াই ভালো।
Discussion about this post