একজন শিক্ষার্থীরও স্বপ্ন থাকে স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে পছন্দের বিষয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে। কিন্তু কখনও কখনও সে স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত হয়। প্রচুর শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সীমিত আসনে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে একটি বিরাট অংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। এর ফলে কেউ কেউ হতাশ হয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষার্থী সময় নষ্ট না করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
চাহিদা আছে যেসব বিষয়: ব্যবসায় প্রশাসন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মাসি, গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা এখন অনেক। এ ছাড়া মিডিয়া অ্যান্ড জার্নালিজম, স্থাপত্য, ইংরেজি সাহিত্য, হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম, কম্পিউটার সায়েন্স ইত্যাদি বিষয়েরও চাহিদা রয়েছে। মাইক্রোবায়োলজি, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচারের চাহিদা আছে সব সময়ই।
ভর্তির সময়: বছরে তিনবার ভর্তির সুযোগ আছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্প্রিং, সামার ও ফল। সাধারণত এ তিন সেমিস্টারে দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তি করে। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্প্রিং’-এর ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয় ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। এপ্রিল-মে মাসে ‘সামার’ ও আগস্ট-সেপ্টেম্বরে শুরু হয় ‘ফল’ সেশনে ভর্তি প্রক্রিয়া। এ ছাড়া ‘উইন্টার’ ও ‘অটাম’ সেশনেও ভর্তির সুযোগ দেয় কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই চলছে ভর্তি কার্যক্রম। ভর্তি ফরম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব ও অ্যাডমিশন অফিস থেকে সংগ্রহ করা যাবে। ফরম সঠিকভাবে পূরণ করে পাসপোর্ট আকারের ছবি যুক্ত করতে হবে। সঙ্গে জমা দিতে হবে সনদ, নম্বরপত্রের সত্যায়িত কপি, প্রশংসাপত্র ও আবেদন ফি জমার রসিদ।
ভর্তির যোগ্যতা: বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ভেদে ভর্তির যোগ্যতা ভিন্ন হয়ে থাকে। মানসম্মত বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসিতে আলাদাভাবে নূ্যনতম জিপিএ ৩.৫০ (চতুর্থ বিষয় বাদে) চাওয়া হয়। জিপিএ ২.৫০ থাকলেও আবেদন করা যায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণত ‘ও’ লেভেলে চারটি বিষয়ে জিপিএ ৩.০০ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে দুটি বিষয়ে জিপিএ ৩.০০ চাওয়া হয়। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেখানে ভর্তি হতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয় না। তবে নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, ইস্ট ওয়েস্ট, এআইইউবি, আইইউবি, ইউআইইউসহ প্রথম সারির কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। ভর্তি পরীক্ষা এবং এসএসসি-এইচএসসির ফলে দুটির সমন্বয়ে মেধা তালিকা করা হয়। প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে ভালো প্রস্তুতি থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে ইংরেজিতে দক্ষতা থাকা চাই। সে সঙ্গে গণিতেও ভালো করতে হবে। এ জন্য নিয়মিত অনুশীলন ভালো ফল দেবে।
খরচাপাতি: খরচের বিষয়টি নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ের ওপর। টিউশন ফিতে প্রায়ই পরিবর্তন আসে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে এ সংক্রান্ত দরকারি তথ্য।
একটুখানি সতর্কতা: ভর্তির আগে খোঁজ নিন কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন পেয়েছে কি-না কিংবা কালো তালিকাভুক্ত কি-না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন থাকলেও তাদের পরিচালিত অনেক কোর্সের অনুমোদন থাকে না, এ বিষয়টি যাচাই করে নিন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
www.bracuniversity.ac.bd
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
www.ewubd.edu
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
www.iub.edu.bd
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
www.northsouth.edu
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ
www.aiub.edu
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি
www.primeasia.edu.bd
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)
www.uiu.ac.bd
আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
www.aust.edu
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি
iubat.edu
ফারইস্ট ইউনিভার্সিটি
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব)
www.ulab.edu.bd
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
www.wub.edu.b
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি
www.stamforduniversity.edu.bd
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
www.daffodilvarsity.edu.bd
গ্রিন ইউনিভার্সিটি
www.green.edu.bd
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি
www.seu.ac.bd
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
www.diu-edu.net
আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
www.asaub.edu.bd
Discussion about this post