শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিট। যে ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারে বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্যসহ সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা হবে মোট ১০০ নম্বরে। এমসিকিউ পরীক্ষায় ৬০ নম্বর এবং লিখিত পরীক্ষায় থাকবে ৪০ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষার মোট সময় দেড় ঘণ্টা। এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে ৪৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে।
প্রশ্ন যেভাবে:
এমসিকিউ অংশে মোট ৬০ প্রশ্নে থাকবে ৬০ নম্বর। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। সময় ৪৫ মিনিট। আর লিখিত পরীক্ষা ৪০ নম্বরে। সময় থাকবে ৪৫ মিনিট।
এমসিকিউ অংশে বাংলায় ১৫টি প্রশ্নের জন্য ১৫ নম্বর, ইংরেজিতে ১৫টি প্রশ্নের জন্য ১৫ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। আর সাধারণ জ্ঞানের বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক আলাদাভাবে ১৫টি করে মোট ৩০টি প্রশ্ন থাকবে৷ অর্থাৎ প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। এসসিকিউ ৬০ নম্বরের পরীক্ষার প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ এবং প্রতিটা ভুল উত্তরে জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।
সাধারণত ‘ঘ’ ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। আর ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের বাংলার পরিবর্তে অ্যাডভান্সড ইংরেজির উত্তর করতে হয়।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায়ও এমসিকিউ এবং লিখিত অংশে পরীক্ষা হবে। আর এই দুইটি অংশে আলাদা করে পাস মার্ক তুলতে হবে। এছাড়া এমসিকিউ অংশে তিনটি বিষয়েই আলাদা করে পাস মার্ক তুলতে হবে।
বাংলার ক্ষেত্রে প্রথমেই একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই এবং নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বইটি ভালো করে পড়তে হবে।
সমাস, কারক, ভাষা (কোনটি কোন ভাষার শব্দ), ধ্বনিতত্ত্ব, যুক্ত ব্যঞ্জন বিশ্লেষণ, শব্দ সম্ভার, পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ, সংখ্যাবাচক শব্দ, দ্বিরুক্ত শব্দ, বচন, পদাশ্রিত নির্দেশক, উপসর্গ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, পদ প্রকরণ, পদ পরিবর্তন, ক্রিয়ার কাল ও ভাব, বাক্য প্রকরণ, বাক্য রূপান্তর, বাচ্য, যতি বা ছেদচিহ্ন, শুদ্ধিকরণ এই বিষয়গুলো অতি জরুরি। অধিকাংশ সময় এই বিষয়গুলো থেকেই বেশিরভাগ প্রশ্ন আসে।
ইংরেজির জন্য বেশি বেশি করে ব্যাকরণ অনুশীলন করতে হবে। তাছাড়া কিছু টপিক যেমনঃ Parts of Speech, Determiner, Tense, Right Forms of Verbs, Subject Verb Agreement, Degree, Transformation, Voice, Narration এই গুলোর বেসিক ক্লিয়ার রাখতে হবে।
অনুশলীন ছাড়া ইংরেজি ব্যাকরণকে নিজের আয়ত্তে আনা মোটেও অসম্ভব কিছু নয়। তাই তোমাদেরকে কষ্ট করে হলেও বেশি বেশি করে গ্রামার অনুশীলন করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞানের শেষ কখনই হয় না। যার কারণে এটা পরতে অনেকের কাছে কষ্ট করে মনে হয়।
পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে বুঝতে পারা যাবে কোথা থেকে প্রশ্নগুলো মূলত হয়ে থাকে। এছাড়াও সাধারণ জ্ঞানের জন্য প্রতিদিন পত্রিকা পড়তে হবে এবং মাসে মাসে একটি করে কারেন্ট আ্যফেয়ার্সও পড়তে হবে। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি খাতায় নোট করে রাখতে হবে।
লিখিত অংশ পূর্বের শিক্ষা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই চলে আসে, তাই লিখিত নিয়ে ভয় পাবার কিছু নেই। বিভিন্ন টপিক নির্বাচন করে সেগুলোর উপর লিখা অনুশীলন করতে হবে।
সর্বশেষ নিজেকে একটু কৌশলী হতে হবে। স্বাস্থ্যর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ব্রেনকে এবং শরীরকে সুস্থ রাখবে। প্রয়োজন তাই পরিমিত ঘুম এবং খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পড়ালেখায় মনোনিবেশ।
Discussion about this post