শিক্ষার আলো ডেস্ক
ছয় বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হলো ফুলব্রাইট কার্যক্রম (বৃত্তি, ফেলোশিপ)। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জেন্ডার সমতা এবং ন্যায্য অধিকারের লক্ষ্যে চালু করা হয়েছিল এই ফুলব্রাইট কার্যক্রম।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বুধবার (২৫ মে) এটি আবারও চালুর ঘোষণা দেন। রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যলয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে নারী এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি) উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে অ্যাকাডেমি ফর ওমেন এন্টারপ্রেনিয়রস চালুরও ঘোষোণা দেন তিনি। বিশ্বের ৮০টি দেশে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— ব্র্যাক বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ভিনসেন্ট চ্যাং, বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. শ্যাং এইচ লি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ, ফুলব্রাইট বিশেষজ্ঞ ড. শ্যারন হার্টপ্রমুখ। অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির প্রতিনিধি এবং উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফুলব্রাইট যুক্তরাষ্ট্রের একটি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম। যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মাঝে ব্যক্তি পর্যায়ে শিক্ষার একটি সমঝোতামূলক বন্ধন তৈরির উদ্দেশ্যে এটি প্রতিষ্ঠিত। ইতোমধ্যেই এই কার্যক্রমের আওতায় ৬৫০ জন বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। পাশাপাশি ২৫০ জন আমেরিকান গবেষণা ও শিক্ষার কাজে বাংলাদেশে এসেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান হামলার পর থেকে এই কার্যক্রমটি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি বাংলাদেশ এবং আমেরিকার মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই কার্যক্রমটি আবারও চালু করা হয়। এর পাশাপাশি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে অ্যাকাডেমি ফর ওমেন এন্টারপ্রেনিয়র প্রোগ্রামও চালু করা হয়। এই প্রথম বাংলাদেশের কোনও বিশ্বিবিদ্যালয় এই কার্যক্রমের আওতায় ৫১ জন নারীকে মেন্টরশিপের সুযোগ দেবে।
Discussion about this post