শিক্ষার আলো ডেস্ক
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আগামী ৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।হাতে আছে আর মাত্র দুইদিন সময়। তাই শেষ মুহূর্তে জেনে নেয়া যাক দরকারি ১০টি পরামর্শ।
১। এখন আর নতুন কিছু পড়া যাবে না। যা পড়া ছিলো তাতেই পড়ে থাকতে হবে। এরমাঝে কোনো কনফিউশন রাখা যাবে না।
২। ‘গ’ ইউনিটের প্রশ্নব্যাংক নিয়ে সমাধানের ভালো নজর দেয়া যেতে পারে। তবে এরমধ্যে যারা প্রস্তুতি নিয়েছেন তাদের প্রস্তুতির মধ্যে প্রশ্নব্যাংকের ৮০ ভাগই সমাধান রপ্ত হওয়ার কথা।
৩. প্রশ্নব্যাংকের হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ এবং মার্কেটিং/ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিষয়ের প্রশ্নগুলো ভালো করে লিখে লিখে সমাধান করতে হবে।
৪। ইংরেজি প্রথমপত্রের মূল বইয়ে প্রতিটি অধ্যায় শেষে কিছু টাস্ক থাকে। যেমন- Sentence Making, Parts of Speech Transformation, Fill in the Gaps, Paragraph Writing ইত্যাদি। এ ধরনের বিষয়গুলো একটা গাইড ফলো করে অবশ্যই চর্চা করতে হবে।
৫। বাজারের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পুরোনো কিছু মডেল টেস্ট পাওয়া যেতে পারে। এসব মডেল টেস্টও পরীক্ষার ক্ষেত্রে কাজে আসবে। এরইমাঝে মূল বইয়ের বাংলা প্রতিটি গল্প-কবিতার শব্দার্থ একবার দেখে নেয়া ভালো।
৬। বাংলা ও ইংরেজির জন্য বেশি বেশি এমসিকিউ প্রশ্ন দেখা ভালো। এতে করে মনে রাখতে সুবিধে হয়।
৭। বাংলার সমার্থক শব্দ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, এককথায় প্রকাশ এমন একটা বই থেকে দেখতে হবে যেখানে প্রচুর এমসিকিউ আছে।
৮। অ্যাডমিট কার্ড হাতের নাগালেই রাখতে হবে। একাধিক কপি সংগ্রহে রাখা উত্তম এবং সফটকপি একাধিক ফোনে ডাউনলোড করে রাখতে হবে।
৯। পরীক্ষার দিন ভর্তি পরীক্ষার এডমিট কার্ডের পাশাপাশি এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মেইন কপিও অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে।
১০। প্রশ্ন দাগানোর সময় ভালোভাবে প্রশ্নের ক্রমিক নাম্বার এবং ওএমআর-এর ক্রমিক নাম্বার মিলিয়ে নিতে হবে।
পাস নম্বর: ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী ৮৪৭ জন ও কোটায় ৮৩ জন প্রার্থীকে ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে। তবে এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনী অংশে ইংরেজিতে ন্যূনতম ০৫ এবং সর্বমোট ২৪ নম্বর পেতে হবে।
এছাড়া লিখিত অংশের ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য নম্বর ১১। তবে বহুনির্বাচনী এবং লিখিত উভয় অংশ মিলে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেলেই পাস হিসেবে গণ্য হবে।
ভর্তির উপরোক্ত শর্তসমূহ কোটাসহ সব পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য হবে। বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে মেধাক্রমানুসারে আসন সংখ্যার ন্যূনতম ৩ গুন প্রার্থীদের লিখিত উত্তরপত্র মূল্যায়ণ করা হবে।
Discussion about this post