মোঃ মিজানুর রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
পদার্থবিজ্ঞান
প্রথম পত্র থেকে গতির সূত্র, মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ, স্থিতিস্থাপকতা, তাপ, গতিবিদ্যা, ভেক্টর ও স্কেলার রাশি, বেগ, ত্বরণ, বল ও বলের প্রকারভেদ, মাত্রা ও বিভিন্ন পদ্ধতিতে একক ইত্যাদি পড়তে হবে।
পদার্থ দ্বিতীয় পত্র থেকে স্থিরবিদুৎ, বিদুৎপ্রবাহের তাপীয় ও রাসায়নিক ক্রিয়া, চৌম্বক পদার্থ, আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, ইলেক্ট্রন, প্রোটন, পরমাণুসহ ইলেক্ট্রনের প্রতিটি অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা, সূত্রাবলি, ঘটনা ও কারণ, প্রভাব, পার্থক্য, গাণিতিক সমস্যার সমাধান জানতে হবে। পদার্থ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন গাণিতিক হয়। সে কারণে গাণিতিক সমস্যার সমাধানগুলো ভালোভাবে করতে হবে। এর সঙ্গে গাণিতিক সমাধান দ্রুত করতে পারার বিষয়টিও আয়ত্ত করতে হবে। কারণ কত সুন্দর করে তুমি কোনো প্রশ্নের উত্তর করতে পারো তার থেকে ভর্তি পরীক্ষায় যেটি বেশি দেখা হয়, তা হচ্ছে কত কম সময়ে তোমরা এটা সলভ করতে পারো।
রসায়ন
রসায়নের ক্ষেত্রেও কথা একই, বাদ না দেয়াই সেইফ। উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর রসায়ন মূল পাঠ্য বইয়ের মধ্যে থেকে পদার্থের বিভিন্ন অবস্থা, পর্যায় সারণী, রাসায়নিক গণনা, জারণ-বিজারণ, রাসায়নিক বন্ধন, রাসায়নিক বিক্রিয়া, প্রতীক, সংকেত, যোজনী, গাঠনিক সংকেত, আণবিক সংকেত, রাদারফোর্ড, বোরের পরমাণু মডেল, Organic chemistry বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। মনে রাখবে রসায়ন কিছুটা মুখস্ত নির্ভর, তাই কষ্ট হলেও মনে রাখবে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তগুলো।
জীববিজ্ঞান
জীববিজ্ঞানের দুটি অধ্যায়। উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণীবিজ্ঞান। উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে পাঠ্যবইয়ের সব অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার, আবিষ্কারকের নাম, প্রয়োজনীয় সংজ্ঞা, উদাহরণ, পার্থক্য, উদ্ভিদের শ্রেণীবিন্যাস, সালোক সংশ্লেষণ, শ্বসন, প্রস্বেদন, টিস্যু, টিস্যুতন্ত্র বিষয়গুলো পড়তে হবে। কিছুই বাদ দেয়া যাবে না, এগুলোতে শুধু বেশি জোর দিতে বলা হচ্ছে।
প্রাণীবিজ্ঞান অংশের ম্যালেরিয়ার জীবাণু, হাইড্রা, দেহপ্রাচীর, কলা, কোষ, প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম, পরিপাকতন্ত্র, রক্ত ও রক্ত সংবহনতন্ত্র, রেচনতন্ত্র, পেশিতন্ত্র, প্রাণীর প্রজননতন্ত্র ইত্যাদি বিষয় পড়তে হবে।
উচ্চতর গণিত
সরলরেখা, কণিক, বৃত্ত, ত্রিকোণমিতিক অনুপাত, বিপরীত ত্রিকোণমিতিক অনুপাত, দ্বিপদী, বহুপদী, ভেক্টর,বিন্যাস সমাবেস,ম্যাট্রিক্স,এই অধ্যায়গুলো মনোযোগ দিয়ে করতে হবে।
Discussion about this post