নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ও গবেষণা ভাবনায় পরবর্তী প্রজন্মকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উদ্যোগে অনন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার’ হিসেবে নির্বাচন এবং অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
এজন্য দেশের অভ্যন্তরীণ সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত আবেদনপত্রে দরখাস্ত আহবান করা হয়েছে।
রোববার (৭ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে গত ২৫ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে সই করেন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নাসরীন আফরোজ।
যেসব অধিক্ষেত্র থেকে আবেদন করা যাবে
সামাজিক বিজ্ঞান, কলা ও মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, আইন, ভৌত বিজ্ঞান, গাণিতিক বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান, কৃষি বিজ্ঞান, সমুদ্র বিজ্ঞান/পরিবেশ বিজ্ঞান/পরমাণু বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি/এমার্জিং টেকনোলজি, শিক্ষা ও উন্নয়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, চারু ও কারু এবং ধর্মীয় শিক্ষা।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, সামাজিক বিজ্ঞান, কলা ও মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং কৃষি বিজ্ঞান অধিক্ষেত্রে দুই জন এবং অবশিষ্ট অধিক্ষেত্রগুলোতে একজন করে মোট ২২ জন চূড়ান্তভাবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার’ হিসেবে নির্বাচন এবং অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলারকে প্রাইজমানি হিসেবে ৩ লাখ টাকা, একটি সার্টিফিকেট এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হবে।
আবেদনের নিয়ম ও শর্তাবলি
১. ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার নির্বাচন ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান নির্দেশিকায়’ বর্ণিত শর্ত, যোগ্যতা এবং অন্যান্য বিষয়াদি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। এ নির্দেশিকা এবং আবেদনপত্রের ফরম ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে (www.pmeat.gov.bd) পাওয়া যাবে।
২. বৃত্তির জন্য অবশ্যই এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫.০০ (স্কেল ৫.০০ এর ক্ষেত্রে) এবং স্নাতকে জিপিএ/সিজিপিএ ৩.৭০ (স্কেল ৪.০০ এর ক্ষেত্রে) থাকতে হবে।
৩. সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তির নিশ্চয়তা পেয়েছেন বা ভর্তিকৃত এমন শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবেদন করবেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, নম্বরপত্র ও এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজের সনদের সত্যায়িত অনুলিপি সংযোজন করতে হবে।
৪. পূরণ করা আবেদন ফরম আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর রেজিস্টার্ড ডাকযোগে বা সরাসরি পৌঁছাতে হবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের পর প্রাপ্ত কোনো আবেদনপত্র বিবেচনা করা হবে না।
৫. কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় এ বিজ্ঞপ্তি বাতিল/পরিবর্তন এবং যেকোনো আবেদন বিবেচনা/বাতিলের ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
Discussion about this post