ড. আবদুস সাত্তার মোল্লা
শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত জ্ঞান, দক্ষতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়। শিক্ষাক্রম যত সুন্দর করেই তৈরি এবং পরিমার্জনের মাধ্যমে তা উন্নয়ন করা হোক না কেন, এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ফলপ্রসূ না হলে প্রধান উদ্দিষ্ট গোষ্ঠী শিক্ষার্থীরা কমই উপকৃত হয়।
উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় শিক্ষাক্রমকে তিনটি প্রধান ধাপ (অনেকে ভুলক্রমে এগুলোকে শিক্ষাক্রমের ‘প্রকার’ও বলে থাকেন) অতিক্রম করতে হয়। এগুলো হচ্ছে : ১. প্রত্যাশিত (Intended), ২. বাস্তবায়িত (Implemented) এবং ৩. অর্জিত (Achieved) শিক্ষাক্রম।
শিক্ষাক্রম উন্নয়কারীরা শিক্ষাক্রমে জাতীয় আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন। শিক্ষকরা এ আকাঙ্ক্ষা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করেন (বাস্তবায়ন); আর শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছা শিখনের যতটা পারে আত্মস্থ (অর্জন) করে। কিন্তু প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের খাদ্যশৃঙ্খলে যেমন প্রতি ঊর্ধ্বগামী স্তরে উৎপাদিত শক্তি ক্রমশ হ্রাস পায়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় শিক্ষাক্রমের আকাঙ্ক্ষাও ‘বাস্তবায়ন’ এবং ‘অর্জন’ স্তরে দু’বার হ্রাস পেয়ে মাত্রায় হালকা (Dilute) হয়ে আসে। শিক্ষকরা উন্নয়নকারীদের থেকে ভিন্ন যোগ্যতার ভিন্ন মানুষ। তাই আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যাশার পুরোটা তারা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে পারেন না।
অনুরূপভাবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের চেয়ে ভিন্ন বয়সের এবং চিন্তার ক্ষেত্রেও একেবারে ভিন্ন দল; এরা শিক্ষকদের রিলে করা আকাঙ্ক্ষার পুরোটা অর্জন করতে পারে না। বাস্তবায়ন ও অর্জন স্তরে শিক্ষাক্রমের আকাঙ্ক্ষা হ্রাস পাওয়ার মাত্রা কমিয়ে আনার কিছু কৌশল আছে। শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সেগুলো সযত্নে অনুসরণ করা কর্তব্য।
শিক্ষাক্রম যতবার পরিমার্জন করা হয়, ততবারই এর উদ্দেশ্য ও বৈশিষ্ট্যে কম-বেশি পরিবর্তন আনা হয়। এসব পরিবর্তন সম্পর্কে শিক্ষাক্রম বিস্তরণ (Dissemination) প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের ভালোভাবে অবহিত করতে হয়। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের কাছে কীভাবে পৌঁছাতে হবে, শিখন-শেখানো প্রক্রিয়া কেমন হলে শিক্ষার্থীদের অর্জন বাড়ানো যাবে তা বর্ণনা করে শিক্ষক-নির্দেশিকা প্রণয়ন করে শিক্ষকদের ‘পাঠ্য’ হিসেবে সরবরাহ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে শিক্ষক নির্দেশিকাও তৈরি করতে হয়। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আগে শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের অবহিত করে নিলে এবং শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক প্রদানের আগে না হলেও সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকদের ‘পাঠ্য’ শিক্ষক-নির্দেশিকা সরবরাহ করা হলে শিক্ষাক্রম উন্নয়নকারীদের থেকে শিক্ষকদের কাছে পৌঁছতে শিক্ষাক্রমের আকাঙ্ক্ষার ডাইল্যুশন বা পদ্ধতিগত ক্ষয় (System loss) বহুলাংশে কমিয়ে আনা যায়।
শিক্ষকদের থেকে শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষাক্রমের আকাঙ্ক্ষা পৌঁছাতে ‘সিস্টেম লস’ কমিয়ে আনার জন্য শিক্ষক-নির্দেশিকা বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে। বর্তমান যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমে উদ্দেশ্যভিত্তিক শিক্ষাক্রমে বিধৃত উদ্দেশ্যাবলির ওপর প্রধান তিনটি উপাদান অতিরিক্ত যুক্ত হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে : ১. মাস্টারি লার্নিং (শিক্ষণীয় বিষয়ের পুরোটা শেখা), ২. শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় সব শিক্ষার্থীর বিচিত্র চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখা (অন্তর্ভুক্তি) এবং ৩. শিখনকালীন অবিরত মূল্যায়নের মাধ্যমে সব শিক্ষার্থীর প্রয়োজনমতো নিরাময় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার সময় শিক্ষক যদি এসব শর্ত মেনে চলেন তবে এ স্তরে ‘সিস্টেম লস’ অনেক কমানো সম্ভব। এসব অর্জন করতে হলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশ কম (প্রত্যাশিত ৩০ না হলেও ক্যাডেট কলেজের মতো ৪০ জন হতে পারে) হতে হবে যাতে শিক্ষক প্রত্যেক শিক্ষার্থীর চাহিদার প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন।
স্বাধীন দেশে সবক’টি আবর্তনেই বেশ যত্নের সঙ্গে শিক্ষাক্রম উন্নয়ন করা হলেও বাস্তবায়নকালে উপর্যুক্ত কৌশলগুলো একবারও পুরোপুরি অনুসৃত হয়নি। ফলে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। প্রথম আবর্তনের শিক্ষাক্রম প্রাথমিক স্তরে ১৯৭৮ সালে বাস্তবায়ন শুরু করা হয় বাস্তবায়নকারী শিক্ষকদের শিক্ষাক্রমের সঙ্গে পরিচিত না করিয়েই; শুধু শিক্ষক প্রশিক্ষক ও পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, তাও দু’বছর পর ১৯৮০ সালে। শিক্ষকদের কাছে নির্দেশিকা পৌঁছে আরও এক বছর পর ১৯৮১ সালে।
সেবার নিু মাধ্যমিক বিজ্ঞান শিক্ষাক্রমকে অনুসন্ধানমূলক করার প্রত্যয় নিয়ে এ স্তরের বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকে ‘এসো নিজে করি’ শীর্ষক পরীক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ না দিয়ে বাস্তবায়ন শুরু করায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাগুলো সম্পাদন করতে পারছিল না। এতে শিক্ষার অংশীজনরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।
পরের দু’বছরে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়; কিন্তু প্রতিবাদের ঝড় সামলাতে সরকার এতদিনে ব্যবস্থাটি বাতিল করে পাঠ্যপুস্তকে পরীক্ষার সম্ভাব্য (কাল্পনিক) ‘ফলাফল’ (যা প্রথমে উহ্য রাখা হয়েছিল) ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়; পরীক্ষা না করেই যদি ফলাফল জানা যায়, তবে আর পরীক্ষা করে কে?
দ্বিতীয় আবর্তনের শিক্ষাক্রম প্রাথমিক স্তরে ১৯৯১ এবং মাধ্যমিক স্তরে ১৯৯৬ সালে বাস্তবায়ন শুরু হয়। সে বছরের শেষনাগাদ কোর-মাস্টার-ফিল্ড প্রশিক্ষকের মাধ্যমে স্তরায়ন (Cascade) পদ্ধতিতে দেশের প্রায় সব মাধ্যমিক শিক্ষকের শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণ হয়। বাস্তবায়নের যৌক্তিক প্রক্রিয়া পুরোপুরি না হলেও সেবার অনেকটা অনুসৃত হয়েছিল।
এটি সম্ভব হওয়ার কারণ সেবার শিক্ষাক্রম পরিমার্জন ও বাস্তবায়নের মূল দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষাক্রমের গুরু অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (কমিটির সভাপতি) এবং অপর শিক্ষাক্রমবোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী (তখনকার সদস্য-শিক্ষাক্রম এবং কমিটির সদস্য-সচিব)।
দেশে তৃতীয়বার শিক্ষাক্রম উন্নয়ন করা হয় ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’-এর মতো উত্তম নীতিমালার আলোকে ২০১১-’১২ সালে। কিন্তু একসঙ্গে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির অধিকাংশ পাঠ্যপুস্তক তাড়াহুড়ো করে রচনা করে শিক্ষক নির্দেশিকা তৈরি ও শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণের আগেই শুধু পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে নয়, শ্রেণির শিক্ষাক্রম একসঙ্গে ২০১২-১৩ সালে বাস্তবায়ন শুরু করায় তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি।
উল্লেখ্য, ওই শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের মূল কাজ ২০১১ সালে শেষ হলেও পর্যালোচনা করে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় পরিষদ ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২’ নামে এটি অনুমোদন করে। অথচ শিক্ষাক্রম আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রাপ্তির আগেই ২০১১ সালের শেষার্ধে নিু মাধ্যমিক উপস্তরের সাতটি পাঠ্যপুস্তক অত্যধিক গতিতে রচনা করিয়ে ২০১২ সালের শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠ্য করা হয়। এ পাঠ্যপুস্তকগুলোতে যে ‘সৃজনশীল’ প্রশ্নগুলো নমুনা হিসেবে ছাপা হয়, সেগুলো কোনো কর্মশালা ছাড়াই এডহক ভিত্তিতে তৈরি করায় এখনও এসব প্রশ্নে ভুল ধরা পড়ে।
শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের আদর্শ প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনুসরণ করলে এক বছরের প্রাক-প্রাথমিকসহ ১৩ বছরের শিক্ষাক্রম নিচ থেকে প্রতি বছর একশ্রেণি করে উপর দিকে বাস্তবায়ন করতে থাকলে আবর্তন শেষ করতে ঠিক ১৩ বছর সময় লাগার কথা। এর মধ্যে পরবর্তী আবর্তনের পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম পুনরায় নিচ থেকে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা যায়।
বাংলাদেশে প্রথম থেকে দ্বিতীয় আবর্তনের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সময়ের ব্যবধান ছিল ১৩ (প্রাথমিক)-১৫ (মাধ্যমিক) বছর; দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় আবর্তনের মধ্যে এ ব্যবধান ছিল দীর্ঘ ১৭ বছর। কিন্তু তৃতীয় আবর্তনের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মাত্র ৮ বছর পর ২০২১ সালের শুরুতে প্রথম-দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করার পরিকল্পনা নিয়ে ২০১৯ সালে সব স্তরে পুনরায় শিক্ষাক্রম পরিমার্জন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
প্রচলিত রীতি অনুসারে বিভিন্ন বিষয়-কমিটির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষানীতি অনুসারে দু’বছরের নাকি ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের মতো এক বছরের হবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ কঠিন হওয়ায় প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন স্থগিত রয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রমে প্রাক-প্রাথমিক স্তরটি যুক্ত করা হয়েছে প্রাথমিক স্তরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য।
সুতরাং এ প্রস্তুতিপর্ব বাদ রেখে প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণিতে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন চেষ্টা যুক্তিসঙ্গত নয়। যদি এ প্রাক-প্রাথমিক স্তরের প্রস্তুতি প্রথম দলের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন না হয়, তবে পরের কোনো দলের জন্যও আর দরকার হওয়ার কথা নয়।
যা হোক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে প্রাক-প্রাথমিক দু’বছরের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন দেখতে হবে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাত শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়ার অবকাঠামোগত সুবিধাদি আছে কিনা। আর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উইংকে কোনো শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক রচনার চেষ্টা স্থগিত রেখে জরুরিভিত্তিতে দু’বছরের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উন্নয়নের কাজে লেগে যেতে হবে।
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন শুরু হয়েছে একটু পরে। পাঁচ-ছয় মাস ধরে কাজটি করা হচ্ছে এক রহস্যাবৃত প্রক্রিয়ায় এখনও বিষয়-কমিটি গঠন না করে। এর মধ্যে দেশ করোনা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে পড়ায় সময়মতো পরিমার্জন শেষ করে পাঠ্যপুস্তক রচনা ও প্রকাশ অসম্ভব না হলেও অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। অথচ এ স্তরের শিক্ষাক্রম প্রথমবারের মতো যোগ্যতাভিত্তিক করায় বিস্তরণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের এ ধারা সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত না করে বাস্তবায়নে গেলে ফলপ্রসূ না হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
উল্লেখ্য, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমসহ যে কোনো পরিবর্তন বাস্তবায়নের তিন ধরনের কৌশল আছে। যথা- ১. যৌক্তিক গবেষণামূলক (Empirical Rational), ২. রীতিসিদ্ধ প্রশিক্ষণমূলক (Normative Re-educative) এবং ৩. শক্তি প্রয়োগে বাধ্যকর (Power
Coercive) কৌশল। প্রথম কৌশলটি সেখানেই কাজ করে যেখানে কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নকারীদের জ্ঞান ও নির্ভরযোগ্যতা প্রশ্নাতীত; তারা উদ্দিষ্ট দলের ওপর গবেষণা করে যৌক্তিক উপায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। বাংলাদেশে দ্বিতীয় কৌশলটি প্রয়োগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময় প্রশিক্ষণ দেরিতে শুরু করে, বাস্তবায়নকারীদের সবার কাছে পৌঁছার আগেই শেষ করে দিয়ে শুধু আদেশবলে বাস্তবায়ন করতে বাধ্য করা হয় (অর্থাৎ প্রক্রিয়াটিকে ‘শক্তি প্রয়োগে বাধ্যকর’ কৌশলে নামিয়ে আনা হয়)।
দেশ করোনা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে পড়ায় এবং অচিরেই এ থেকে মুক্তিলাভের সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় সরকার বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ২০২১ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন স্থগিত ঘোষণা করেছে। ২০২২ সাল থেকে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করলে এবার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ফলপ্রসূ করার যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হয়েছে।
প্রাথমিকের সঙ্গে প্রাক-প্রাথমিক যুক্ত করে, সব স্তরে পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষক-নির্দেশিকা একইসঙ্গে রচনা করে ২০২১ সালের শেষনাগাদ প্রকাশ করা যায়। তাছাড়া খসড়া শিক্ষাক্রম এবং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালের মাধ্যমে বিস্তরণ প্রশিক্ষণ ২০২১ সালে বছরব্যাপী চালালে এবার শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন ফলপ্রসূ হতে পারে।
লেখক- ড. আবদুস সাত্তার মোল্লা : শিক্ষাক্রম গবেষক এবং বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার সদস্য
Discussion about this post