ড. মিল্টন বিশ্বাস
২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। করোনা সংকটের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ও গবেষণা পুরোদমে শুরু হয়েছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্লাস নেবার প্রস্তুতি চলছে। এ পরিস্থিতিতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ বছর অতিক্রম করে ষোড়শবর্ষে পদার্পণ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বিশেষত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জগন্নাথের রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য।
কেবল ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই নতুন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হয়েছে আঠারোটি গবেষণা গ্রন্থ। ২০১৪ সাল থেকে এমফিল এবং পিএইচডি গবেষকের সংখ্যা প্রতি শিক্ষাবর্ষে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে যোগ্য শিক্ষকদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রদানের মধ্য দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি হয়ে উঠেছে দিশারি। অর্থাৎ জগন্নাথ এখন অন্য সব নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পথনির্দেশক। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘‘জগন্নাথ’’ এক গৌরবময় ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী। সুদীর্ঘ প্রায় দেড়শো বছরের পথ পরিক্রমায় এই প্রতিষ্ঠানটি এমন অনেক গৌরব ও গর্বের দাবিদার যার তাৎপর্য ঐতিহাসিক। বাঙালি ও বাংলার ইতিহাসের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস একই সুতায় গাথা। বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা শতাব্দী প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়ে বর্তমানে আলোকদ্যুতি ছড়াচ্ছে। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি মহোদয়ের মতো অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে গুণী ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।
৭ একর জমিতে অবস্থিত সরকারি জগন্নাথ কলেজকে ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয় এবং ওই একই বছরের ২০ অক্টোবর এক সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালে। বিএনপি সরকার ‘জগন্নাথ’কে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে গড়ে তুলতে চেয়েছিল। কারণ প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পর নিজেদের ব্যয় নিজেরা বহন করার ধারণাটি ছিল সম্পূর্ণত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো। এদিক থেকে ত্রুটিপূর্ণ ছিল এটির অ্যাক্ট। ২০১১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে এটি প্রকৃত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা অর্জন করে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘‘জগন্নাথ’’ এক গৌরবময় ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী। সুদীর্ঘ প্রায় দেড়শো বছরের পথ পরিক্রমায় এই প্রতিষ্ঠানটি এমন অনেক গৌরব ও গর্বের দাবিদার যার তাৎপর্য ঐতিহাসিক। বাঙালি ও বাংলার ইতিহাসের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস একই সুতায় গাথা। বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা শতাব্দী প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়ে বর্তমানে আলোকদ্যুতি ছড়াচ্ছে।
ইতিহাসের বিভিন্ন গ্রন্থসূত্র মতে, বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার আগে জগন্নাথের আদি ইতিহাস শুরু হয়েছিল একটি সাদামাটা ব্রাহ্ম স্কুলের মধ্যে। কলকাতায় রাজা রামমোহন রায়ের উদ্যোগে ১৮২৮ সালের ২০শে আগস্ট ব্রাহ্মধর্ম প্রতিষ্ঠা পায়। এর প্রভাবে পূর্ব বাংলার কতিপয় উৎসাহী যুবক ১৮৪৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকাতে ব্রাহ্মধর্মের প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময় ব্রাহ্ম সন্তানদের শিক্ষালাভ এবং ধর্মচর্চার উন্নতির জন্য একটি ব্রাহ্মস্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং তাঁর ইচ্ছানুযায়ী আর্মানিটোলাস্থ বাড়ির নিচের তলায় ১৮৬৩ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মস্কুল প্রতিষ্ঠা হয় (বর্তমানে সেখানে আহমেদ বাওয়ানি স্কুল ও কলেজ রয়েছে)। শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ব্রাহ্ম সমাজের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। ব্রাহ্মস্কুল বেশ কয়েক বছর সফলভাবে চলার পর এক সময় আর্থিক কারণসহ নানা জটিলতায় বিদ্যালয় পরিচালনায় সমস্যা দেখা দেয়। ব্রাহ্ম স্কুল কর্তৃপক্ষ সংকট উত্তরণের ব্যাপক চেষ্টার পরও কোনো সমাধান না পেয়ে তাঁদের বিদ্যালয়টির পরিচালনার ভার ১৮৬৮ সালে মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরীকে অর্পণ করেন। কিশোরীলাল রায় চৌধুরী বিদ্যালয়টিকে আর্মানিটোলা থেকে বর্তমানে যেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত সেখানে স্থানান্তর করেন। সেই সঙ্গে তিনি তাঁর পিতা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে বিদ্যালয়টির নতুন নামকরণ করেন ‘জগন্নাথ স্কুল’। প্রসঙ্গত জগন্নাথ স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় তখন তার দুইদিকে দুইটি স্কুল আগে থেকেই শিক্ষাদান করে আসছিল। একটি ‘কলেজিয়েট স্কুল’ এবং অন্যটি ‘পোগোজ স্কুল’।
আজকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বীজ এভাবেই উপ্ত হয়। জগন্নাথ কলেজের খ্যাতি ও প্রসারে অনুপ্রাণিত হয়ে কিশোরীলাল রায় চৌধুরী স্কুলকে কলেজে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছিলেন অনাথ মল্লিক ছাড়াও আইনজীবী ত্রৈলোক্যনাথ বসু ও বিচারপতি সারদা চরণ মৈত্র। বিদ্যালয়ের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়েই ১৮৮৪ সালে কিশোরীলাল রায় চৌধুরীর উদ্যোগেই একে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে (তখন বলা হত ‘সেকেন্ড গ্রেড’ কলেজ) উন্নীত করা হয়। এ-সময় কলেজে আইনের ক্লাস নেওয়ারও ব্যবস্থা হয়। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের কাজও চলতে থাকে। জগন্নাথ স্কুল এবং কলেজ একই প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের অধীনে পাঁচ বছর চলার পর ১৮৮৭ সালে সরকারি নির্দেশে স্কুলটির ব্যবস্থাপনা আলাদা করে ভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় কিশোরীলাল জুবিলি স্কুল (বর্তমানে যা ‘কে. এল. জুবিলি স্কুল’ নামে সুপরিচিত)। কলেজ অংশটি জগন্নাথ কলেজ নামেই পূর্বস্থানে থেকে যায়। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে গোড়ায় জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা কলেজ থেকে শিক্ষার্থী নিয়েই এর যাত্রা শুরু হয়।
বস্তুত এই দুটি কলেজের ডিগ্রি ক্লাসের সমস্ত ছাত্র নিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। এ-সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংকটের কথা চিন্তা করে জগন্নাথ কলেজে স্নাতক পর্যায়ের পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং একে আবার উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে রূপান্তরিত করা হয়। আর তা করতে গিয়ে ভারতীয় আইন পরিষদে ‘জগন্নাথ কলেজ এ্যাক্ট’ (১৯২০) নামে একটি আইন পাশ করা হয়। ভারতবর্ষে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে আইন পাশের ঘটনা সেটাই প্রথম। দেশবিভাগের পর আবার জগন্নাথ কলেজে স্নাতক শ্রেণির পাঠদান শুরু হয়। ১৯৬৮ সালের ১ আগস্ট এক সরকারি আদেশে জগন্নাথ কলেজকে ‘প্রাদেশিকীকরণে’র নামে সরকারি কলেজে রূপান্তর করা হয়।
সরকারি জগন্নাথ কলেজ ২০০৫ সালে ৪টি অনুষদের অধীনে (কলা, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) ২০টি বিভাগ নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ফিন্যান্স এবং মার্কেটিং বিভাগ, ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত নৃবিজ্ঞান ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং কলা অনুষদভুক্ত আইন বিভাগ চালু হয়। ২০১০ সালের ১৩ মার্চ থেকে একাউন্টিং ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে ‘একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগ’ ও ‘ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ’ নামকরণ করা হয়।
২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড বায়োটেকনোলজি ও ফার্মেসি বিভাগ চালু করা হয়। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে মাইক্রোবায়োলজি এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের নাম পরিবর্তন করে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ নামকরণ করা হয়। ২০১১ সালের ২২ জুন একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫-তম সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে সেই বছরের ২৭ তারিখের ৩৯-তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদনক্রমে কলা অনুষদভুক্ত আইন বিভাগ নিয়ে আইন অনুষদ; বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত রসায়ন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ নিয়ে বিজ্ঞান অনুষদ এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ, মনোবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড বায়োটেকনোলজি ও ফার্মেসি বিভাগ নিয়ে লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের কার্যক্রম শুরু হয়।
২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে কলা অনুষদের অধীনে ড্রামা এন্ড মিউজিক বিভাগ, ফাইন আর্টস এন্ড গ্রাফিক্স বিভাগ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে লোক প্রশাসন বিভাগ এবং ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগ চালু করা হয়। এছাড়াও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ হতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট চালু করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে আইন অনুষদের অধীনে ভূমি আইন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ, লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের অধীনে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ চালু করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল ‘ফাইন আর্টস এন্ড গ্রাফিক্স বিভাগ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘চারুকলা’ বিভাগ এবং ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ‘ড্রামা এন্ড মিউজিক বিভাগ’-কে পৃথক করে ‘সংগীত বিভাগ’ ও ‘নাট্যকলা বিভাগ’ নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করা হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে সেন্টার ফর ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ বিলুপ্ত করে ইনস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাংগুয়েজেস চালু করা হয়। এসব অগ্রগতি ও রূপান্তরের ইতিহাসে যাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে তিনি হলেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। তাঁর প্রচেষ্টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেরাণীগঞ্জে নতুন ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হতে যাচ্ছে।
চলতি বছর (২০২১) জুন মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. ইমদাদুল হক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে তাঁর এই যোগদান এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। কারণ ২০২০ সালে শুরু হওয়া করোনা মহামারিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি পুষিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তাঁর দূরদৃষ্টি আমাদের আশান্বিত করে তুলেছে। ১৭ অক্টোবর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ইতিহাসে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে এদেশে শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন উপাচার্যের অবদান রয়েছে। যোগদানের পর তিনি গবেষণাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করেছেন। অনুমোদন এবং অনুস্বাক্ষর করেছেন জগন্নাথ ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকর্মের যৌথ প্রকল্পে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন।
জয় হোক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের।
লেখক : পোস্ট ডক ফেলো, বিশিষ্ট লেখক, কবি, কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এবং অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
Discussion about this post