আহমাদ ইশতিয়াক
বাংলাদেশে নান্দনিক স্থাপত্য চর্চার পথিকৃৎ তিনি। স্থাপত্যকে যিনি নিয়ে গিয়েছেন শিল্পের কাতারে। ঔপনিবেশিক ধ্যান ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে যার স্থাপত্য একই সঙ্গে আধুনিকতা ও গ্রামীণ সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটিয়েছে। যিনি বলতেন, স্থাপত্যকর্ম মানেই প্রকৃতির বাইরে নয়। নির্মাণে বরাবরের কাঠখোট্টা ভাব দূর করে তিনি ফুটিয়ে তুলতেন নান্দনিক ভাব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের আজ যে নকশা দেখলে আমরা মুগ্ধ হই। তাও তার নকশায় তৈরি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান তার হাতে গড়া। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি প্রকৃতির মেলবন্ধনের সঙ্গে স্থাপত্যকলার নিপুণ ব্যবহারে দিয়েছেন প্রাণের রূপ। রাঙ্গামাটির এখন যে আধুনিক শহর তাও তার নকশায় তৈরি। বর্তমানে বুয়েটের যে আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্ট, তাও চালু হয়েছে তার হাতেই। কিংবা বলা যায় শাহবাগের গণগ্রন্থাগার, আগারগাঁওয়ের জাতীয় গণগ্রন্থাগার ও আর্কাইভ ভবন- সবকিছুতেই ছাপ রেখেছেন আপন মুন্সিয়ানার। প্রকৃতি যে স্থাপত্যকলার বাইরে নয় বারবার তিনি প্রমাণ করেছেন। দেখিয়েছেন আমাদের মাটি, বায়ু আর আমাদের সংস্কৃতিকে কী নিপুণ কায়দায় তুলে ধরা যায় স্থাপত্য বিদ্যায়।
তিনি জাতীয় সংসদ ভবনের সঙ্গেও ছিলেন গভীরভাবে সংযুক্ত। যৌথভাবে কাজ করেছিলেন বিশ্বখ্যাত স্থপতি লুই আই কানকে নিয়ে। লুই আই কান যদিও মূল স্থপতি। লুই আই কানকে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়েছিলেন তিনি। শোনা যায় জাতীয় সংসদ ভবন প্রজেক্টে তিনি এক টাকাও পারিশ্রমিক নেননি। সরকার থেকে যখন পারিশ্রমিকের কথা উঠে তিনি বলেছিলেন ‘এটি আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় কাজ। আমি এখান থেকে কোনো অর্থ নিতে চাই না।’
কিংবদন্তী স্থপতি মাজহারুল ইসলাম
মাজহারুল ইসলামের জন্ম ১৯২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর তার নানার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের সুন্দরপুর গ্রামে। তার বাবা এমদাদুল ইসলাম ছিলেন কৃষ্ণনগর কলেজের গণিতের শিক্ষক। কৃষ্ণনগর কলেজ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিলেন মাজহারুল ইসলাম। এরপর তার বাবার বদলির কারণে তার পরিবার চলে এলো রাজশাহীতে। তাকে ভর্তি করানো হয় রাজশাহী কলেজ স্কুলে। রাজশাহী কলেজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করার পরে তিনি ভর্তি হন রাজশাহী কলেজে। রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে রাজশাহী কলেজেই পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হলেন তিনি। কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন বিখ্যাত শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। কিছুদিনের মধ্যে তিনি সুযোগও পেয়ে যান শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যায়নের। ১৯৪৬ সালে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে যেদিন তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করলেন তার পরেরদিনই খালাতো বোন সালমা ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল তার।
শিবপুরে থাকাকালীন সময়ে তার শিক্ষকেরা তাকে বলতেন তোমার হাত খুব ভালো। তোমার অঙ্কন খুব সুন্দর। এই বিষয়টি কাজ করতো মাজহারুল ইসলামের মনে। এসময় ঐতিহ্য ও নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি তার গভীর ভালোবাসা জন্ম নেয়।
দেশভাগের মাত্র কিছুদিন পরেই মাজহারুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে সরকারি চাকরিতে ঢুকে পড়লেন।
তার প্রথমে কর্মস্থল ছিল ঢাকায়। তারপর তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। সেখানে কিছুদিন থাকার পর নোয়াখালীতে তাকে এসডিও হিসেবে বদলি করা হয়।
১৯৫০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অরিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য নিয়ে পড়ার সুযোগ পেলেন মাজহারুল ইসলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর সেখানে আড়াই বছর স্থাপত্যবিদ্যায় পড়াশোনার পর তিনি প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। সেসময় দুজন শিক্ষকের কথা আজীবন মনে রেখেছিলেন মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, দুজন শিক্ষক আমাকে সাহায্য না করলে এবং স্নেহ মমতা না দিলে আমার ভীষণ কঠিন হতো সেখানে থাকা এবং পুরোদস্তুর স্থাপত্য সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা। একজন ইতিহাসের অধ্যাপক ড. মিস্টার রস ও অপরজন ডিজাইনের অধ্যাপক অধ্যাপক হেইডেন। তারা তাকে বলেছিলেন তুমি যে পড়াশোনা করতে এসেছো, এখানে আসলে ইউরোপিয়ান স্থাপত্যের আলোচনাও পড়াশোনা হবে। কিন্তু যেহেতু তুমি ভারতবর্ষের ওই অঞ্চল থেকে এসেছো, মনে রাখবে তোমাদের ওখানকার সংস্কৃতিও বহু পুরনো এবং ভীষণ গর্বের জিনিস। এখানে কিন্তু তা শেখানো হয় না। কিন্তু তোমাকে নিজের চেষ্টায় শিখে নিতে হবে।’ আড়াই বছর পর পড়া শেষে ফিরেও এলেন। অথচ আমেরিকায় তার জন্য ছিল মোটা বেতনের চাকরি। সব ফেলে এলেন দেশে।
তিনি যখন দেশে ফিরে আসেন তখন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন স্থপতি ম্যাকনেল। স্থপতি ম্যাকনেল মাজহারুল ইসলামকে বললেন, সরকারের তিন চারটা কাজ গত তিন চার বছর ধরে পড়ে আছে, আমরা কিছুই করতে পারিনি। আর্ট কলেজ এবং লাইব্রেরি তোমাকে ডিজাইন করতে হবে। তখন একা কাজ শুরু করলেন মাজহারুল ইসলাম। কাজ আরম্ভের সময় দুটো জিনিস তার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একটি হলো উপাদান তথা ম্যাটেরিয়ালস, তখন ঢাকাতে ভালো ইট তৈরি হতো। কিন্তু তা সত্ত্বেও কয়লা দিয়ে পোড়ানো সেই ইটে এক সময় ফাঙ্গাস পড়তো। সেসময় গ্যাস দিয়ে পুড়িয়ে কিছু ইট বানানো হতো। যা ৫ শতাংশের বেশি পানি শোষণ করতে না পারে। তখন তিনি নিজে ইটগুলো তৈরি করতে বলেন। যার উপর ভিত্তি করে এই আর্ট কলেজ গড়া হয়েছে। এই আর্ট কলেজের সবচেয়ে দারুণ দিক ছিল এখানে বায়ু, রোদ ছায়ার কী অপূর্ব মিশেল, আবার একই সঙ্গে একসাথে না মিলিয়ে ছাড়া ছাড়া বাড়ি, অনেকটা খোলামেলা রাখা। যেখানে বাঙালি সংস্কৃতি ও আবহাওয়াকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এটি আজও প্রচণ্ড আধুনিক একটি স্থাপত্য কৌশল। তার পরবর্তীতে যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে এই শুদ্ধতা দেখতে পাওয়া যায় না বলে মনে করেন স্থপতি শামসুল ওয়ারেস।
একা একনাগাড়ে ৬ মাসের পরিশ্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট ও লাইব্রেরি ভবনের ডিজাইন করলেন মাজহারুল ইসলাম। এই ৬ মাস ডিজাইন কাউকে ধরতে দেননি তিনি। সমস্ত কাজ শেষ করার পর তিনি এই কাজ সমর্পণ করলেন। এই আর্ট কলেজ ছিল বর্তমানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।
১৯৫৬ তে বৃত্তি নিয়ে তিনি ট্রপিক্যাল আর্কিটেকচার পড়তে চলে গেলেন লন্ডনের এএ স্কুল অব আর্কিটেকচার এ। ১৯৬০ এ তিনি নিজের পয়সায় চলে গেলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে বিশ্বখ্যাত স্থপতি পল রুডল্ফ-এর অধীনে মাস্টার্স করলেন।
এরপর ১৯৬১ সালের শেষের দিকে তিনি চলে এলেন দেশে। অথচ লন্ডনে তখন তার জন্য ছিল মোটা বেতনের চাকরি, সোনালী ভবিষ্যৎ। বলেছিলেন স্মৃতিকথায় , “সবাই বললো থেকে যেতে। কিন্তু ঐ যে দেশের টান। খেয়ে পরে থাকতে পারলেই আমার হবে। অতো টাকা দিয়ে তো আর সুখ হয় না!’ এরপর তো এই দেশকে গড়ে তোলার পালা।
১৯৬২ ও ১৯৬৩ সালে ভীষণ চাপের মুখে তার সরকারি চাকরি করতে হয়। তখন তার উপর যেমন চাপ ছিল তেমন চাপ ছিল তার পরিবারের উপরও। অনেক কষ্টে এতদিন তিনি কাজ করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি পদত্যাগ করলেন চাপ সহ্য করতে না পেরে। সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করে তিনি প্রাইভেট প্র্যাকটিসে চলে যান।
পরিবাগে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে নিজেদের স্টুডিও ও অফিস তৈরি করেন। প্রথম কাজ পেয়েছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এর বেশ কয়েকটি বাড়ি তৈরির কাজ। ড. কুদরতে খুদা তার কাজে মুগ্ধ হয়ে তাকে ডেকে কাজটি দিয়েছিলেন। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে আরো কয়েকটি কাজ হাতে পেয়েছিলেন। এর মধ্যে মতিঝিলের জীবন বীমা ভবন, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপা ভবন (যা বর্তমানে বাণিজ্য ভবন), ২০ তলা গার্ডেন সিটি প্রকল্পের নকাশা তার হাতেই সৃষ্টি।
১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রখ্যাত স্থপতি স্ট্যানলি টাইগারম্যানকে সাথে নিয়ে রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিলেট ও বরিশালের জন্য মোট পাঁচটি পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ভবনগুলোর স্থপতি যেমন ছিলেন তিনি, তেমনই নির্মাণ করেছিলেন ঢাকার সড়ক গবেষণা পরীক্ষাগার, রূপপুরে আণবিক শক্তি কমিশনের আবাসন প্রকল্প। চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্লান। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবনের নকশাও করেছিলেন তিনি।
পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগ থেকে সত্তরের দশক পর্যন্ত তিনি বসতবাড়ির যে-নকশা করেছেন, তা প্রচলিত ধারার বসতবাড়ির নকশা থেকে ছিল ভিন্নতর। নকশায় তিনি সব রকমের আড়ম্বর বাদ দিতেন।
ঔপনিবেশিক ধ্যান ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে মাজহারুল ইসলাম স্থাপত্যকলায় আধুনিকতা ও গ্রামীণ সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটিয়েছেন। স্থাপত্যকর্মে প্রকৃতিকে ভীষণ গুরুত্ব দিতেন। বিশ্বখ্যাত স্থপতি লুই কানকে দিয়ে বর্তমানের গোটা শেরেবাংলা নগর এলাকার ডিজাইন, পল রুডলফকে দিয়ে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করিয়েছিলেন তিনি।
মাজহারুল ইসলাম কত বিশাল মাপের স্থপতি ছিলেন তা অবর্ণনীয়। মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কলকাতায় ন্যাপের কাজকর্মের নেতৃত্বে ছিলেন। রাতদিন অমানুষিক পরিশ্রম করতেন। ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ দলীয় অনেক কাজে তার ওপর নির্ভর করতেন। যেহেতু তার ছাত্র জীবন কলকাতায় কেটেছে সেহেতু কলকাতায় তার বহু পুরানো বন্ধুদের মধ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমবেত করে ভারতীয় জনগণ ও সরকারের মনোভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মাজহারুল ইসলাম ছিলেন প্রথম সারির সৈনিক। ১৯৯০ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী, যুদ্ধাপরাধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা গোলাম আযমের প্রতীকী বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা গণ আদালতের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্থপতি মাজহারুল ইসলাম।
স্থপতি মাজহারুল ইসলাম সম্পর্কে প্রখ্যাত স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইন বলেছিলেন, ‘মাজহারুল ইসলামের কাজের ভিতরে আমরা যা দেখি তা হলো, তার সততা, নিষ্ঠা, বাঙালিয়ানার প্রতি তার একটি তীব্র আবেগ। যা তিনি আজীবন আঁকড়ে ধরেছিলেন।’
আর দেশ বরেণ্য স্থপতি কাজী খালিদ আশরাফ বলেছিলেন, ‘মাজহারুল ইসলামের কাজের সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আধুনিকতা। উনি সবসময়ই দুটো কথা বলতেন, শুধু স্থাপত্যে আধুনিকতা নয় মন মানসিকতায় আধুনিকতা এবং তার সঙ্গে স্থান কাল পাত্রে একটি যোগসূত্র স্থাপন করা। একটি হলো যেটি সাড়া বিশ্বের আধুনিকতার সঙ্গে জড়িত, অন্যটি সংস্কৃতি, মাটি বায়ু জল এর সাথে একটি সম্পর্ক তৈরি করা।’
স্থপতি মাজহারুল ইসলাম একটি কথা সবসময়ই বলতেন, ‘একজন স্থপতি হলো সমাজেরই একটি অংশ। একজন স্থপতি চাইলেই গোটা সমাজকে খোঁচাতে পারে, ভালো জিনিস বোঝাতে পারে। একজন স্থপতি যেমন আধুনিক হবে ঠিক তেমনই নিজের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেবে।’
আজ বাংলাদেশের কিংবদন্তি স্থপতি ও মুক্তিযোদ্ধা মাজহারুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস। প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই এই অসামান্য স্থপতির প্রতি।
তথ্যসূত্র- “Tini” The Architect/ Enamul Karim Nirjhar
আহমাদ ইশতিয়াক
Discussion about this post