ড. মো. আব্দুল হামিদ
কিছুদিন আগে স্থানীয় এক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। সাক্ষাতে বুঝলাম, তিনি বেশ আপসেট। কারণ জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, ক্লাস ওয়ানের এক শিক্ষার্থী ষাণ্মাসিক পরীক্ষায় এক সাবজেক্টে বেশ খারাপ করেছে। রেজাল্ট প্রকাশের পর সেই শিক্ষার্থীর মা তাকে খুব অনুরোধ করেন সেই শিশুর ওই বিষয়ে (একই প্রশ্নপত্রে) আবারো পরীক্ষা নেয়ার জন্য। কারণ হিসেবে বলেন, তখন প্রস্তুতি ভালো ছিল না। এখন দেখা যাক, ভালো করতে পারে কিনা!
ম্যাডাম প্রথমে রাজি হননি। অনেক পীড়াপীড়ি করার পরে তিনি পরীক্ষা নিতে রাজি হন। তবে সেই পরীক্ষার নম্বর প্রকাশিত রেজাল্টে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই, তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন। অভিভাবক তাতেই সম্মত হন। একদিন পাশের রুমে বসিয়ে তিনি পরীক্ষা নেন; প্রাপ্ত নম্বরও অভিভাবককে জানিয়ে দেন। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ঠিক তার পর। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বণিক বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা যায়।
প্রকৃতির নিয়মে আমরা সন্তানের মা-বাবা হই। কিন্তু সন্তান লাভের পর পরই কেন যেন প্রকৃতির নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাই। সবকিছু আমার ইচ্ছামতো হবে, আমার সন্তান সবকিছুতে সেরা হবে—এমন অদ্ভুত মানসিকতা আমাদের ক্রমেই গ্রাস করছে। ফলে শিশুদের ওপর স্টিমরোলার চালানো, শিক্ষকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা, প্রয়োজনে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া—সব করতে প্রস্তুত। তবুও আমি যা চাই, সেটাই হতে হবে। এমন মনোভাব ও আচরণ দীর্ঘমেয়াদে সত্যিই কি কল্যাণকর?
আজকের অভিভাবকরাও একসময় শিশু-কিশোর ছিলেন। তাদের শৈশব ও কৈশোর কি এমন ছকবন্দি ছিল? তারা কি রেসের ঘোড়ার মতো সবসময় বিজয়ী হওয়ার জন্য ছুটেছেন? অবশ্যই না। তখন পড়ালেখা ছিল জীবনের অংশ। কিন্তু এখন জীবন মানেই পড়ালেখা আর ভালো রেজাল্ট! অথচ তাদের সহপাঠীদের অধিকাংশই ছাত্রজীবনে খুব ভালো রেজাল্ট করেননি। তাই বলে কি তাদের জীবন ব্যর্থ হয়ে গেছে? প্রাইমারি স্কুলে আপনার সঙ্গে যারা প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় হতো, তারা সবাই কি কর্মজীবনে খুব ভালো করছে? তাহলে আপনি কেন সন্তানকে ফার্স্ট বানানোর জন্য ক্রেজি হয়ে উঠছেন?
আসলে উচ্চতর লেখাপড়া, পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়া, মেধাবীর স্বীকৃতি পাওয়া ইত্যাদি বিষয় যে জীবনে খুব একটা পার্থক্য সৃষ্টি করে না, প্রতিনিয়ত চারপাশে তেমনটা দেখার পরেও আমরা শিক্ষা নিতে চাই না। সন্তানদের শুধু পড়ালেখা করতে বলা, কোচিং-প্রাইভেটে দৌড়ঝাঁপ করানো, ক্ষমতা থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রভাব খাটানো, নানা সিস্টেমে (যেমন ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে) সন্তানদের স্বর্ণের গ্রেড ধরাতে আমরা কতই না উদগ্রীব। কিন্তু তাতে কাজের কাজ ঠিক কতটা হচ্ছে তা তলিয়ে দেখছি না।
অর্থাৎ পড়ালেখার মাধ্যমে সন্তানকে দক্ষতা ও মানবিকতার সমন্বয়ে গড়া ‘আদর্শ’ একজন মানুষ হিসেবে দেখতে চান। এ প্রত্যাশা সঠিক হলে নিবন্ধের শুরুতে বর্ণিত (কিংবা কাছাকাছি আচরণ করা) অভিভাবকরা আসলে কী অর্জনে তত্পর রয়েছেন? ক্লাস ওয়ানের এক শিশু গণিতে ৬০ পেল নাকি ৯০, তা কি সত্যিই কোনো অর্থ বহন করে? তার পরও আমরা রেজাল্টের জন্য মরিয়া হই কেন? যেনতেন উপায়ে অর্জিত নম্বর কি সত্যিই তার ভাগ্য বদলে দেবে?
ভার্সিটিতে হলের এক ছোট ভাই একবার দুঃখ করে বলেছিল যে প্রাইমারি স্কুলে পড়াকালে সে কখনো ফার্স্ট হওয়ার সুযোগ পায়নি। কারণ তার ব্যাচে এলাকার প্রভাবশালী দুই ব্যক্তির সন্তান পড়ত। প্রত্যেক ফাইনাল পরীক্ষার পর স্কুলের হেড স্যার নাকি সেই দুজনকে নিয়ে মিটিংয়ে বসতেন। সেখানে নির্ধারণ হতো ওই ক্লাসে কে ফার্স্ট হবে? তার বাবা দরিদ্র কৃষক হওয়ায় সর্বোচ্চ তৃতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হতো!
কর্মজীবনে প্রবেশের পর একদিন জানতে চাইলাম, তোমার সেই ‘মেধাবী’ সহপাঠীদের এখন কী অবস্থা? একজন কলেজে পড়াকালে এলাকার বড় মস্তান হয়েছে; এইচএসসি পাস কপালে জোটেনি। আরেকজন কলেজে অনার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হলেও তখনো শেষ হয়নি! অথচ তখনকার থার্ড বয় এখন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা। তার পরও মা-বাবারা সন্তানদের যেনতেন উপায়ে নম্বর পাওয়াতে কতই না পেরেশান হন?
আমরা এখনো সেকেলে মুখস্থবিদ্যা ও রেজাল্টনির্ভর শিক্ষা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত আছি। কিন্তু বিশ্ব যে গতিতে এগিয়ে চলেছে, তাতে এরই মধ্যে সেগুলোর প্রয়োজন ফুরিয়েছে। আগামীতে কেউ আপনার সন্তানের গ্রেড, ডিগ্রি, পজিশন জানতে চাইবে না। তাদের সরাসরি প্রশ্ন হবে—সে কী কী কাজ জানে? বাস্তব সমস্যার সমাধানে তার কেমন দক্ষতা রয়েছে? কারণ অনেক ভালো রেজাল্ট কিন্তু ‘চিন্তা’ করতে পারে না, সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান করতে পারে না, টিম মেম্বার গতির সঙ্গে তাল মেলাতে অক্ষম…এমন অকাল কুষ্মাণ্ড দিয়ে তারা কী করবে?
আরেকটা সংকট খুব প্রবল হচ্ছে। সেটা হলো, অভিভাবকদের অধিকাংশই সন্তানদের বাস্তব জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে শুধু নম্বর বা গ্রেড অর্জনে নিয়োজিত করছেন। তাদের অর্জিত ফল দিয়ে নিজেদের মান-মর্যাদা বাড়াতে চান! কিন্তু তাদের মানবীয় গুণাবলির বিকাশে থাকছেন চরমভাবে উদাসীন।
এক্ষেত্রে আমরা দুটো বিষয় খেয়ালই করছি না। প্রথমত, সন্তানরা বয়সে যত বড় হবে, তারা আপনার থেকে তত দূরে সরে যাবে। তার নিজস্ব সার্কেল হবে, নিত্যনতুন মানুষ ও পরিবেশ-পরিস্থিতিতে মিশবে। ক্রমেই তার জীবনে জটিলতা বাড়বে। সেগুলোর অধিকাংশই ঘটবে আপনার অগোচরে। ফলে সেগুলোর সমাধান করা তাকেই শিখতে হবে। আর সেই দক্ষতা হঠাৎ করেই অর্জন করা যায় না। ধীরে ধীরে চর্চার মাধ্যমে সেগুলো অর্জন করতে হয়। কিন্তু আমরা সেই চর্চায় তাদের নিয়োজিত করছি না, শুধু পড়তে বলছি।
তারা বড়জোর হাইস্কুল পর্যন্ত অভিভাবকের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-কর্মজীবনে তারা এমন অসংখ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়, যা মা-বাবা জানেনও না। আর জানলেও সেখানে তাদের প্রবেশাধিকার বা তাকে সাহায্য করার সামর্থ্য থাকে না। তাই যত ছোটবেলা থেকে তাকে ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ জীবনের জন্য প্রস্তুত করা যায়, সমস্যার সমাধানে ইনভলভ করা যায় ততই মঙ্গল।
দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, সাম্প্রতিক কালে বহু মা-বাবা সন্তানদের ‘নিরাপদ’ রাখতে গিয়ে ক্রমে শিকড়গুলো কেটে দিচ্ছেন। লেখাপড়ার অজুহাতে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে মেশার সুযোগ হ্রাস করা, অমুক খারাপ, তমুকের সঙ্গে মেশা যাবে না, সে যেন তোমার সঙ্গে কথা না বলে…এমন অসংখ্য দেয়াল তুলে আমরা সন্তানদের বড় একা করে তুলছি। জীবনের নানা স্তরে এমন কিছু ব্যাপার থাকে, যা শুধু সমবয়সী বা বন্ধুদের সঙ্গেই শেয়ার করা যায়। মা-বাবারা সেটা বুঝতে চাই না।
মাকড়সার জাল আপনার কাছে যতই অপ্রয়োজনীয় মনে হোক না কেন, তার জীবন ও জীবিকার জন্য সেটা অপরিহার্য। ঠিক তেমনিভাবে আপনার সন্তানের যথাযথ বিকাশের জন্য সমবয়সীদের সঙ্গে খেলাধুলা করা, মেলামেশা, আড্ডা দেয়া, ঘুরতে যাওয়া খুবই দরকারি। আপনি তাকে সেগুলো থেকে দূরে রাখছেন তার ভালোর কথা ভেবে। কিন্তু এতে সে বড় ‘একা’ হয়ে পড়ছে। জীবনের বাজে সময়ে শেয়ার করার মতো কেউ অবশিষ্ট থাকছে না। ফলে আকস্মিক অনেকের ছন্দপতন ঘটছে। শান্ত-সুবোধ ছেলেটি হঠাৎ করে আত্মাহুতির মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে!
আপনি যতই বলেন, আমরা তো তার সঙ্গে ‘বন্ধুর মতো’ মিশি। মন খুলে সব কথা বলার পরিবেশ বাসায় রয়েছে। আসলে সেটা ঠিক নয়। বিশ্বাস না হলে বলুন, আপনার কিশোর সন্তান যদি সিগারেটে একটা টান দেয় কিংবা কোন মেয়েকে খুব ভালো লাগে, আর সেটা আপনার সঙ্গে খোলাখুলি শেয়ার করে—হজম করতে পারবেন? অথচ তার সহপাঠী বন্ধুকে বললে তাকে ওই ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে! তাছাড়া আপনি ভুলে যান যে তার সঙ্গে আপনার এক প্রজন্মের (কমপক্ষে ২০-২৫ বছরের) ব্যবধান রয়েছে। তার ও আপনার ভাবনার ধরন এক হতে পারে না। বহু কারণে সেটা হওয়া সম্ভব নয়।
ফলে মা-বাবা ‘বন্ধু’র ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করলে সেই সন্তানটি একসময় বড় একা হয়ে পড়ে। তার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার মতো লোক থাকা দরকার। কিন্তু ছোটবেলা থেকে একাকী বড় হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েও মন খুলে আড্ডা দিতে পারে না, সহপাঠীদের সঙ্গে সহজে মিশতে পারে না। রুমমেটদের সঙ্গে মিশতে সংকোচ করে, দাম্পত্য জীবনে সহজ হতে পারে না। ফলে একা একা গুমরে মরে। কোনো এক সময় হয়তো তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে খুব খারাপভাবে। তখন আর কারোরই কিছু করার থাকে না।
ইদানীং অনেক মা-বাবা বুঝতে পারেন না যে সন্তানকে সবকিছু দেয়ার পরেও তারা কেন মনমরা হয়ে থাকে? তারুণ্যের উদ্দীপনা নেই, কারো সঙ্গে খেলে না, ঠিকমতো খায় না, ভালো করে কথাও বলে না! কারণ অভিভাবকরাই নিজের অজান্তে তার শিকড়গুলো কেটে ফেলেছেন। এখন ওপরে পানি ঢাললেও তা সজীব ও সতেজ দেখায় না! খুব নির্মম শোনালেও এটা বাস্তবতা।
উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় হতাশ ও বিষণ্ন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তাদের কষ্টগুলো শেয়ার করার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছে না। তাই আপনি যদি সত্যিই সন্তানের কল্যাণ চান, তবে শুধু নিজে বন্ধুর মতো হতে চেষ্টা না করে আরো কিছু মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ করে দিন। যাদের সঙ্গে সে মন খুলে কথা বলতে পারবে, হাসতে (প্রয়োজনে কাঁদতে) পারবে, বিপদে তাদের পাশে পাবে। সারা দিন পড়াশোনার চাপ না দিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক নানা কাজে তাদের যুক্ত করুন। একজন রক্ত-মাংসের মানুষের সারা দিন পড়ালেখার দরকার নেই। তাকে সারা জীবন মানুষের সঙ্গে চলতে হবে। তাই এখন থেকে তাকে সেটা চর্চার সুযোগটা করে দিন।
একক পরিবারে বেড়ে ওঠা বহু সন্তান শুধু ক্লাস-পরীক্ষা-গ্রেড-চান্স ইত্যাদির ঘেরাটোপে বন্দি হয়ে আপাতদৃষ্টিতে সফল হয়েছে। কিন্তু জীবন সবসময় একই গতিতে চলে না। যখন তার জীবনে বড় কোনো ধাক্কা আসে তখন সে একা সেগুলো বহন করতে পারে না। তাই তো নম্র-ভদ্র ছেলেটিরও হঠাৎ করে বখে যাওয়া, নেশাগ্রস্ত হওয়া, এমনকি আত্মহত্যার মতো ঘটনা অহরহ শোনা যাচ্ছে। তাদের একতরফা দোষারোপ না করে মা-বাবা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চারপাশের মানুষগুলোর তাদের প্রতি আন্তরিক হওয়া দরকার। শখ করে কেউ নষ্ট হতে চায় না। কিন্তু দুর্বল ভিত্তির ওপর যখন অনেক বেশি চাপ পড়ে তখন তারা সেটা নিতে পারে না। মহামারী পরিস্থিতিতে বহু শিক্ষার্থী নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ওপর অভিভাবকরা এখন যদি তাদের কাছে শুধু ভালো রেজাল্ট (বেশি নম্বর) প্রত্যাশা করেন, অনেকেই সেটা নিতে পারবে না।
জীবনে খুব ভালো রেজাল্ট করা অপরিহার্য কোনো ব্যাপার নয়। বিশ্বাস না হলে আপনার সঙ্গে প্রাইমারি-হাইস্কুল-কলেজে খুব ভালো রেজাল্ট করাদের খোঁজ নিন। দু-চারজন হয়তো ভালো আছে, অধিকাংশই খুব ভালো নেই। তাছাড়া আপনার সহপাঠীদের মধ্যে যারা ব্যাকবেঞ্চার ছিল, তাদের খোঁজ নিয়ে দেখেন, অনেকেই ঈর্ষণীয় অবস্থায় রয়েছে। তাই শুধু রেজাল্ট মানুষের জীবনের সফলতা বা ব্যর্থতার মাপকাঠি নয়। কর্মজীবনে প্রবেশের পর তা দ্রুতই অর্থহীন হয়ে পড়ে। তখন কর্মদক্ষতা ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা হয়ে ওঠে মানুষের সাফল্যের চাবিকাঠি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: অনেকে ভাবতে পারেন ছাত্রজীবনে ভালো রেজাল্ট করতে না পারার কষ্ট থেকে বুঝি এমনটা লিখছি। তাদের সবিনয়ে বলি, শিক্ষাজীবনের প্রায় প্রত্যেক স্তরে ঈর্ষণীয় ফল করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেই এমনভাবে বলতে পারছি। বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।
লেখক : ড. মো. আব্দুল হামিদ: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও ‘শিক্ষা স্বপ্ন ক্যারিয়ার’ বইয়ের লেখক
Discussion about this post