প্রফেসর ডক্টর মোঃ মাহমুদুল হাছান
বাংলাদেশে জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিলের তত্বাবধানে পরিচালিত এডেক্সেল ও ক্যামব্রিজ শিক্ষাক্রম উচ্চমধ্যবিত্ত অধিকাংশ অভিভাবকের খুব পছন্দের শিক্ষাব্যবস্থা। জাতীয় শিক্ষাক্রমের এসএসসি পরীক্ষার সমমানের পরীক্ষাকে ব্রটিশ কাউন্সিল নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাক্রমে ও’লেভেল বা আই জি সি এস ই এবং এইস এস সি সমমানের পরীক্ষাকে এ’লেভেল বা আই এ এল বলা হয়ে থাকে। প্রতি বছর তিনটি সিটিং-এ এসকল পরীক্ষা একই সাথে সম্পন্ন হয়। বৃটিশ কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম সিটিংটি শুরু হয় বছরের মে, দ্বিতীয়টি হয় অক্টোবর এবং তৃতীয়টি শুরু হয় জানুয়ারি মাসে। জরীপে দেখা গেছে মে সিটিং-এ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা থাকে অন্য সিটিংগুলীর তুলনায় অনেক বেশি।
এ পরীক্ষাগুলিতে সকল শিক্ষার্থী ভালো ফলাফলের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে থাকে। সকলেই প্রত্যাশা করে ও’লেভেলে তারা এ* (স্টার) বা এ অর্জন করুক এবং এ ‘লেভেলে নাইন টু সেভেন এর মধ্যে রিজাল্ট অর্জন করুক। কিন্তু তাদেরকে সেভাবেই পড়ালেখা করতে হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় বসার পুর্বে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়। গতানুগতিক পড়াশোনায় ভালো ফলাফল অর্জন করা যায় না। এ ব্যাপারে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ইংলিশ মিডিয়ামের একজন প্রিন্সিপাল হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি উপদেশ প্রদান করছি মাত্র।
আমার এ উপদেশাবলি দু’টি পর্বে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি; একটি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বে ‘প্রস্তুতি পর্ব‘ এবং অন্যটি ‘পরীক্ষার কক্ষ পর্ব‘।
১। প্রস্তুতি পর্ব: পরীক্ষা যখন অত্যাসন্ন, শিক্ষার্থীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় হলো মনকে একটি সময়ের ফ্রেমে আবদ্ধ করা, পড়ার ব্যাপারে নিজের দুর্বলতা চিহ্নিত করা এবং নিজেকে সংশোধন করে পড়াশোনায় আত্ম নিমগ্ন হওয়া। এলক্ষ্যে পরীক্ষার্থীদের জন্য নিম্নে কয়েকটি টিপস প্রদান করা হলো:
ক। নিয়মিত স্কুলে যাওয়া: শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষকদের সংস্পর্শে থাকতে হবে এবং কোচিং নির্ভরতা কমিয়ে স্কুলে যেতে হবে। কোচিংয়ের নির্ধারিত কিছু প্রশ্নোত্তর চর্চা করে ভাল ফল করা যায় না। স্কুলে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শ্রেণিশিক্ষা নিলে তারা পরীক্ষার লেটেস্ট প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারে এবং নিজেদেরকে তদানুসারে প্রস্তুত করতে পারে।
খ। অতীতের সকল প্রশ্নপত্র সমাধান করা: ও’লেভেল বা এ’লেভেল পরীক্ষার বিগত সিটিংগুলির প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদেরকে প্রশ্নের ধরণ, ফরম্যাট ও উত্তরদান পদ্ধতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়। অভিজ্ঞ শিক্ষকগণের মতে বিগত দশ বছরের প্রশ্নের সমাধান করলে একজন শিক্ষার্থী নিজেকে পূর্ণ প্রস্তুত বলে মনে করতে পারে। এতে পরীক্ষার সময় কোন প্রশ্নগুলি আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে তা জানারও একটি সুযোগ তৈরি হয়।
গ। উত্তর মুখস্ত বর্জন করা: ইংলিশ মিডিয়ামে ভাল ফল করতে হলে বিষয়বস্তু বোঝার জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং মুখস্ত নির্ভর পড়াশোনা ত্যাগ কমাতে হবে। নিজের ভাষায় গুছিয়ে লেখার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। অনেক সময় চারপাশের ঘটনা থেকেই রচনা, চিঠি লিখতে বলা হয়। প্রায়ই দেখা যায়, ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা নিজের দেশ-জাতি সম্পর্কে অনেক সময় তেমন কিছু জানে না। একটি দৈনিক পত্রিকায় দিনের যে কোনো সময়ে অন লাইনেই হোক কিংবা হার্ড কপিতেই হোক, মোটামুটিভাবে নজর বুলাতে হবে। আর কল্পনা শক্তি বাড়াতে হবে। সৃষ্টিশীল চিন্তা-চেতনাই ভালো ফলাফলের আদর্শ সোপান।
ঘ। একটি চূড়ান্ত অনুশীলন পত্র তৈরি করা: শিক্ষার্থী তার পঠিত বিষয়গুলির একটি চুড়ান্ত অনুশীলনপত্র তৈরি করবে। এটি শিক্ষার্থীদেরকে তাদের শেষ ভুল ধারণাগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করার পাশাপাশি, তাদের ও’লেভেল এবং এ’লেভেল পরীক্ষার জন্য তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে। উপরন্তু, এটি তাদের পর্যাপ্ত অনুশীলন প্রদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যেন তারা পরীক্ষার হলে উত্তরদান পদ্ধতি ভুলে না যায়।
ঙ। সন্দেহযুক্ত প্রশ্ন বারবার পড়া: ও’লেভেল বা এ’লেভেলের অনেক প্রশ্ন থাকে যেগুলো একটির সাথে আরেকটি গুলিয়ে যেতে পারে এবং বেশি সন্দেহযুক্ত মনে হতে পারে। শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষার আগেই তা চিহ্নিত করে তা বারবার পড়ার মাধ্যমে নিজেদেরকে সন্দেহমুক্ত ও স্পষ্ট করতে হবে। তাহলে পরীক্ষার কক্ষে এজাতীয় প্রশ্নের উত্তর অতি সহজেই দেয়া যাবে।
চ। সার্বক্ষণিক শিক্ষকের পরামর্শ নেয়া: একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অভিভাবক। তিনি ভালো জানেন পরীক্ষার্থী ছেলে-মেয়েদের জন্য কোনটি ভালো এবং কোনটি যথোপযুক্ত। পরীক্ষার ঠিক আগের মুহুর্তে শিক্ষকের পরামর্শগুলো খুব কাজে লাগে। বিষয়ভিত্তিক সকল শিক্ষকের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখা এবং তাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ভালো ফলাফলের জন্য খুব উপকারী।
ছ। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তরগুলি বেশি বেশি লেখা: সার্বিক প্রস্তুতির প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীরা যেহেতু পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সকল প্রশ্ন সম্পর্কে মোটামুটি ভালো ধারণা পেয়ে যায়, সেহেতু তাদের জন্য আবশ্যক হলো সেগুলি বারবার লিখে আত্মস্থ করা। কারণ, শিক্ষার্থী যত বেশি লিখবে একদিকে যেমন তার হাতের লেখা পরিপক্ক হবে, অন্যদিকে তার পাঠ উপযোগী উত্তরগুলি স্মৃতিতে গেঁথে থাকবে। এক্ষেত্রে মাইন্ডম্যাপিং পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার্থী কি পড়ছে এবং পরীক্ষার খাতায় তা কিভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে সেব্যাপারে মাইন্ডম্যাপিং করতে হবে।
জ। উপযুক্ত ঘুম ও পুষ্টি প্রয়োজন: পরীক্ষা যখন খুব কাছাকাছি চলে আসে, তখন পরীক্ষার্থীদেরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা খুবই আবশ্যক। এজন্য পরিমানমত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং যথোপযুক্ত ঘুম দিতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেছেন, একজন সুস্থসবল মানুষের জন্য নিয়মিত ঘুম খুবই প্রয়োজন। কারোর ঘুম কম হলে তার স্মৃতিশক্তি লোপ পায় এবং খিটখিটে মেজাজ বৃদ্ধি পায়। পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীরা ঠিকমত না ঘুমালে পরীক্ষার হলে তারা ক্লান্তি অনুভব করবে এবং প্রস্তুতি অনুযায়ী তারা লিখতে পারবে না, ফলে তারা ভালো ফল অর্জন করতেও ব্যর্থ হবে।
ঝ। পরীক্ষার ভেন্যু সম্পর্কে জানা: ব্রিটিশ কাউন্সিল পূর্ব থেকেই পরীক্ষার্থীদেরকে ভেন্যু সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়। ভেন্যুর দুরত্ব কত, আসন বিন্যাস কেমন, নিজের আসন নম্বর কত ইত্যাদি ভেন্যু সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তাদেরকে জানতে হবে। এ ব্যাপারে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করতে হবে।
মোটকথা, ভালো ফলাফলের জন্য একজন পরীক্ষার্থীকে লক্ষ্যস্থির করে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী উপরোক্ত পরামর্শগুলি মেনে চলতে হবে।
পরীক্ষার কক্ষ পর্ব: অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষার্থীর পড়াশোনা ভালো, প্রস্তুতিও নিয়েছে অনেক। কিন্তু পরীক্ষার কক্ষে ঢুকলে তার কতিপয় নিয়মকানুন ও পদ্ধতি জানানা থাকার কারণে সে ভালো রিজাল্ট করতে পারে না। সুতরাং তাকে পরীক্ষার হলের কিছু প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে হবে। নিম্নে সংক্ষিপ্ত পরিসরে কয়েকটি উপদেশ দেয়া হলো:
ক। নিজের আসনেই বসা: পরীক্ষার হল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত আসন বিন্যাস অনুযায়ী নিজেরটি চিহ্নিত করে বসতে হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কমপক্ষে আধাঘন্টা আগে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে হল সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন ভালোভাবে জেনে-বুঝেই নিজেকে সচেতন রাখতে হবে।
খ। আবশ্যকীয় দ্রব্যাদি সাথে রাখা: ইংলিশ মিডিয়াম পরীক্ষার হলে অবশ্যই স্বচ্ছ ব্যাগে পাসপোর্ট, স্টেটমেন্ট অফ এন্ট্রি, সাধারণ বল পয়েন্ট কলম, স্কেল, অনুমোদনযোগ্য ক্যালকুলেটর, পেন্সিল, রাবার সাথে রাখতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে পাসপোর্ট ও স্টেটমেন্ট অফ এন্ট্রি ছাড়া কোনোভাবেই পরীক্ষা দিতে দেয়া হবে না। অংক ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষায় জ্যামিতি বক্স আনতে হবে। তবে সূত্র লেখা জ্যামিতি বক্স আনা যাবে না।
গ। নির্দিষ্ট স্থানেই উত্তর লেখা: ইংলিশ মিডিয়ামের সকল পরীক্ষায় প্রশ্নেপত্রের মধ্যেই উত্তর লেখার নির্দিষ্ট স্থান দেয়া থাকে। প্রতিটি প্রশ্নের নিচে উত্তর লিখতে যে সীমিত জায়গা থাকে, সেখানেই পরীক্ষার্থীকে তার উত্তর লিখতে হবে। তাই ভেবেচিন্তে লিখতে হবে, অযথা কাটাকাটি করে জয়গা নষ্ট করা যাবে না। অপ্রয়োজনীয় কথা বাদ দিয়ে সঠিক উত্তর লিখতে হবে। বাহুল্য কথা বর্জন করে মূল উত্তরের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।
ঘ। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রথমে লেখা: একটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকগুলি পয়েন্ট থাকলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রথমে লিখতে হবে। এরপর গুরুত্ব অনুসারে পর্যায়ক্রমে অন্য পয়েন্টগুলি লিখতে হবে। কম গুরুত্বপূর্ণ কথা লিখে জায়গা পূরণ করে ফেললে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উত্তর বাদ পড়বে। এতে শিক্ষার্থী কম নম্বর পাবে।
ঙ। প্রশ্নের চাহিদানুযায়ী উত্তর করা: পরীক্ষার্থীকে প্রথমে প্রশ্নটি ভালো করে পড়ে বুঝতে হবে। কত শব্দের মধ্যে উত্তর করলে সেটি প্রশ্নের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত শব্দ সংখ্যা বেশি হলে বা অতিরঞ্জিত কিছু লিখলে নম্বর কমে যায়। অল্প কথায় বেশি ভাব প্রকাশ করলে উত্তরের মান বৃদ্ধি পায় এবং পরীক্ষকও খুশি হন।
চ। ইলেকট্রনিক আইটেম এড়িয়ে চলা: ইংলিশ মিডিয়ামের বিভিন্ন বিষয়ে প্রযুক্তি নির্ভর দ্রব্যাদি ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে। যেমন; ক্যালকুলেটর, সময় পরিমাপক যন্ত্র, গ্রাফিক্স সম্পর্কিত আইটেম ইত্যাদি। পরীক্ষার হলে অনুমোদিত সরঞ্জামাদি ব্যতিত অন্য কোন কিছুই ব্যবহার করা যাবে না। সুতরাং, পরীক্ষার আগে থেকেই পরীক্ষার্থীকে হাতে লেখা, আঁকানো বা মুখে হিসাব করার অভ্যাস গড়তে হবে।
ছ। মনোযোগ দিয়ে প্রশ্ন পড়া: ইংলিশ মিডিয়ামের পরীক্ষার প্রশ্নে অনেক চিন্তনীয় ভাব থাকে, একবারেই বুঝতে কষ্ট হয় এবং এতে কথার মারপ্যাঁচ থাকে। অনেক সময় প্রশ্নের আকার বড় হয়। এতে পরীক্ষার্থীরা সহজে পারা প্রশ্নের উত্তরও বুঝতে পারে না। এজন্য মনোযোগ দিয়ে প্রশ্ন পড়ে উত্তর করতে হবে।
জ। আশেপাশে দৃষ্টি না দেয়া: পরীক্ষার হলে ডানে-বামে বা আশে-পাশে তাকানো ঠিক নয়। স্বভাবে চঞ্চল পরীক্ষার্থী অনেক সময় পাশের বন্ধু কি করছে সেদিকে তাকিয়ে থাকে, এতে সময়ের অপচয় হয়। ফলে, সময় শেষ হতে থাকে এবং পরীক্ষার্থীর হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকায় তার অনেক জানা উত্তরও আর লিখতে পারে না। সুতরাং আশেপাশে দৃষ্টি দিয়ে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করা যাবে না।
ঝ। বল পয়েন্ট কলম ব্যবহার: ইংলিশ মিডিয়ামে পরীক্ষার্থীর খাতা জমা দেয়ার পর স্ক্যান করে খাতার সফট কপি পরীক্ষকের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তাই উত্তর পরিস্কার করে লিখতে হবে। কাটাকাটি করা যাবে না। জেল পেন দিয়ে উত্তর লেখা যাবে না। কালো কালির সাধারণ বল পয়েন্ট দিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।
অতএব, ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা যেই সিটিং-এ বসুক না কেন তাদেরকে উপরোল্লিখিত উপদেশগুলি মেনে চলা উচিত। শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার মানসিকতা নিয়ে নিজেদেরকে সত্যিকার অর্থেই প্রস্তুত করে, তাহলে তাদের স্কোর অবশ্যই ভালো হবে এবং এ* (স্টার), এ বা নাইন টু সেভেন রিজাল্ট করা কখনোই অসম্ভব হবে না। আসন্ন এডেক্সেল বা ক্যামব্রিজ কারিকুলামের পরীক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল অর্জন করুক এটি হোক সকলের প্রত্যাশা।
লেখক- প্রফেসর ডক্টর মোঃ মাহমুদুল হাছান, প্রিন্সিপাল, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকা প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ স্মার্ট এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিসেন)।
Discussion about this post