নিজস্ব প্রতিবেদক
নতুন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ৩ হাজার ৬২৬ জন শিক্ষক কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত ও স্তর পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে স্কুলের ২ হাজার ১৬৮ জন এবং কলেজের ১ হাজার ৪৫৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। শনিবার (১৬ মে) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও কমিটির সভায় এসব শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অধিদপ্তর সূত্র থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত স্কুল-কলেজের ৩ হাজার ৬২৬ জন শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত ও স্তর পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে নতুন এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ২ হাজার ১৬৮জন। আর কলেজের ১ হাজার ৪৫৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী আছেন।
কর্মকর্তারা জানান, আসছে ঈদুল ফিতরের আগেই গত বছরের জুলাই থেকে দুটি ঈদ উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা ও এপ্রিল মাস পর্যন্ত বেতন পাচ্ছেন নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত বছরের ১ জুলাই থেকে এরিয়ারসহ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। গত বছরের আগস্টে ঈদুল আযহার উৎসব বোনাসটি বকেয়া পাবেন তারা। আর গত মাসে পুরনো এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা যেভাবে বৈশাখী ভাতা পেয়েছেন তেমনি নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পাবেন। এটি তারা বকেয়া হিসেবে পাবেন। এর সাথে যুক্ত হচ্ছে আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য ঈদুল ফিতরের ভাতা। ঈদের আগেই তাদের জন্য চেক ছাড় করা হবে।
সূত্রমতে, ইএমআইএস সেলের সার্ভার জটিলতার কারণে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারেননি। তাই, ফের বাদপড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। নতুন সূচি অনুসারে, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোর শিক্ষকদের এমপিও আবেদন শুরু হবে ২২ মে থেকে। ৩১ মে পর্যন্ত নতুন এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষকরা আবেদন করতে পারবেন। ৪ জুনের মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এমপিওর আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। ৮ জুনের মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। ১৫ জুনের মধ্যে এমপিও আবেদন অগ্রায়ণ করতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের।
Discussion about this post