শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশের ১ হাজার ৫১৯ ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির প্রস্তাবের ফাইলে স্বাক্ষর করে গেছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফলে তাদের এমপিওভুক্ত হতে আর কোন বাধা রইলনা!
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত এবং জাতীয়করণের বিষয় ছাড়াও মাদ্রাসার ছাত্রদের উপবৃত্তির আওতায় আনাসহ মাদ্রাসার উন্নয়নে আরও বেশ কিছু বিষয়ে উপদেষ্টা পর্যায়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন ফাইল অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাবে।
মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার জন্য কাজ করছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ। সারা দেশে এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনাক্তকারী নম্বর আছে (ইআইআইএন) এমন ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাকে এমপিও করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
বুধবার বিদায়ী বক্তব্যে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, একই কারিকুলামে পড়াশুনা করিয়ে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের চরম বৈষম্য ছিল। সেই বৈষম্য নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে অনেক ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে। এর মধ্যে অনেকগুলো অনানুষ্ঠানিক। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানের নথি (রেজিস্ট্রেশন) আছে। সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মতো তারা বাংলা, ইংরেজি, গণিত পড়াচ্ছে। অবকাঠোমো, শিক্ষক থাকার পরও তাদের এমপিওভুক্ত করা হয়নি। তাদেরকে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব। সেই কাজ আমি করে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো জাতীয়করণের ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট।
Discussion about this post