নিজস্ব প্রতিবেদক
ইআইআইএনভুক্ত (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি নম্বর) সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নন-এমপিও ও শিক্ষক কর্মচারীদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সব জেলা প্রশাসকের কাছে জরুরীভিত্তিতে এ তালিকা চাওয়া হয়েছে। সাথে ব্যানবেইসের সর্বশেষ শিক্ষাজরিপের একটা খসড়া তালিকা দেয়া হয়েছে। আগামী ২৮ মের মধ্যে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকা যাচাই করে ইমেইলে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসকদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদেরও দেয়া হয়েছে। চিঠির সাথে ছক দেয়া হয়েছে। ছকে বিকাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর (যার যেটা আছে) চাওয়া হয়েছে।অবশ্যই এ ক্ষেত্রে একাউন্ট নম্বরে ব্যবহার করা নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নামের সাথে মিল থাকতে হবে।
জানা গেছে, চিঠির সাথে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক কর্মচারীদের একটি তালিকাও ডিসিদের পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তালিকা যাচাই করে ইমেইলে পাঠাতে হবে ডিসিদের।
গতরাতে এই চিঠি পাওয়ার পর দেশের সব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে এসএমএস করেছেন অথবা ফোনে বলেছেন মেইল চেক করতে। ছক অনুযায়ী তালিকা হালনাগাদ ও যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে।
২৩ মে অতিরিক্ত সচিব মো মমিনুর রশিদ আমিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাহীন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা, শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্যাদি ব্যানবেইসের জাতীয় শিক্ষা জরিপ ২০১৯ হালনাগাদকরণের জন্য জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা শিক্ষকদের নাম ও একটি নির্ধারিত ছক পাঠানো হলো। তালিকায় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম স্থানীয় প্রশাসনের তত্বাবধায়নে এবং জেলা শিক্ষা অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে যাচাই করে সংযুক্ত ছক মোতাবেক আগামী ২৮ মের মধ্যে এক্সেল ফাইল ও পিডিএফ ফাইল করে ইমেইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। শিক্ষক কর্মচারীদের নামের বানান এর আইডি কার্ডের অনুরূপ হতে হবে এবং মোবাইল নাম্বার এর আইডি কার্ডের সাথে মিল থাকতে হবে বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।
Discussion about this post