নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকল্পের আওতায় ৬৪ জেলার ৫০৫টি উপজেলায় দু’টি করে মোট এক হাজার ১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রতিটি মাদ্রাসায় পাঁচজন করে মোট পাঁচ হাজার ৫০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। নতুন করে প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
জুন ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি উপজেলায় দু’টি করে মাদ্রাসা চালু করা হবে। সরকার উন্নয়ন প্রকল্প তৈরি করছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) সূত্র জানায়, প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের জন্য কওমি ও আলিয়া নেসাবের পাঁচজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ধর্মীয় বিষয়ে আরবি ভাষায় পাঠদানের যোগ্যতা থাকতে হবে। মাসিক বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা। বছরে দু’টি উৎসব ভাতা দেওয়া হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা দাওয়ারে হাদীস ও ফাজিল। প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। মাদ্রাসার স্থান নির্বাচন করা হবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মাধ্যমে।
ইফা সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, নতুন করে প্রতিটি উপজেলায় দু’টি করে মাদ্রাসা পুনরায় চালু করতে যাচ্ছি। প্রতিটি মাদ্রাসায় পাঁচজন করে মোট পাঁচ হাজার ৫০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। আমরা শুধু শিক্ষকদের বেতন দেবো। অবকাঠামো সুবিধা করে দেওয়া হবে।
‘আগ্রহী আলেমদের জন্য দ্বীনি দাওয়াতভিত্তিক কর্মসংস্থান ও সাক্ষরতার হার আরও বাড়ানোর জন্য নতুনভাবে প্রকল্পটি চালু হবে। প্রতিটি উপজেলায় দু’টি করে সারাদেশে এক হাজার ১০টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় পাঠদান করবে ইফা। এ ব্যবস্থায় দারুল আরকাম মাদ্রাসার জন্য কোরআন হিফজসহ শিশু শ্রেণি থেকে অনার্স পর্যন্ত খসড়া কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে।’
ইফা সূত্র জানায়, প্রতিটি উপজেলায় দু’টি করে মাদ্রাসায় আইসিটি ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও আইসিটি ল্যাব স্থাপন করা হয়নি, সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে আইসিটি ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতিটি উপজেলার নির্বাচিত দু’টি মাদ্রাসার নাম, মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা, আলাদাভাবে ছাত্র ও ছাত্রী সংখ্যা, একাডেমিক স্বীকৃতিপ্রাপ্তির তারিখ ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল নম্বর ও ই-মেইলের ঠিকানা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হবে।
ইফা সূত্র আরও জানায়, প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বই, খাতা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। প্রতি শ্রেণি কক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। মাদ্রাসার অবকাঠামো নির্মাণ ও ফার্নিচার প্রকল্পের আওতায় করা হবে। সম্পূর্ণভাবে নতুন প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে পবিত্র কোরআন সুন্নাহরভিত্তিতে প্রকৃত নায়েব রাসুল তৈরি করার লক্ষ্যে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। শিশুর শারীরিক, মানসিক, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ শেখানো হবে। গাণিতিক ধারণা ও দক্ষতা অর্জনে জোর দেওয়া হবে। বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখানো হবে। দেশের আইন-কানুন ও ধর্মীয় বিশ্বাসের বাধ্যবাধকতায় স্বাধীন ও মুক্তচিন্তায় উৎসাহী করা হবে। গণতান্ত্রিক রীতি অনুশীলন করানো হবে।
Discussion about this post