নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে সমাধান হচ্ছে এনটিআরসিএর মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়া আট শতাধিক নিবন্ধিত শিক্ষকের এমপিও সমস্যার। এনটিআরসিএর দ্বিতীয় চক্রে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া আট শতাধিক প্রার্থী এমপিওভুক্ত হতে পারেনি। তাদের হতাশার মূল কারণ ভুল তথ্য দেয়া শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ, মহিলা কোটা, নবসৃষ্ট পদ, প্যাটার্ন বহিভূর্ত পদে নিয়োগ সুপারিশ সর্বোপরি ভুল তথ্য দেয়া শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়ায় এ জটিলতা সৃষ্টি হয়।
এসব পদে যোগদান করা শিক্ষকদের জটিলতা নিরসন করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ভুল তথ্য দেয়া শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ, মহিলা কোটা, নবসৃষ্ট পদ, প্যাটার্ন বহিভূর্ত পদে নিয়োগ সুপারিশ ইত্যাদি জটিলতায় এমপিওবঞ্চিত ৩২২ জন শিক্ষককে নিকটবর্তী প্রতিষ্ঠান নতুন করে সুপারিশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১ জুন এ সংক্রান্ত চিঠি এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র আরো জানায়, শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ, মহিলা কোটা, নবসৃষ্ট পদ, প্যাটার্ন বহিভূর্ত পদে নিয়োগ সুপারিশ ইত্যাদি জটিলতায় এমপিওবঞ্চিত ৩২২ জন শিক্ষকের তালিকা বিভাগে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে কারিগরি প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ প্রাপ্ত ৬৬ জন শিক্ষক এবং মাদরাসায় সুপারিশপ্রাপ্ত ২৫৬ জন শিক্ষক ছিলেন। তাদের এমপিওভুক্তির জটিলতা নিরসন করতে বলা হয়েছে এনটিআরসিএ। পরবর্তী নিয়োগ সুপারিশের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের পর সেসব পথ থেকে তাদের প্রতিষ্ঠান নিকটবর্তী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করার বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। গত ১ জুন বিষয়টি জানিয়ে এনটিআরসিএ কে চিঠি পাঠিয়েছে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ।
যদিও একই সমস্যায় জর্জরিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীনস্থ স্কুল-কলেজগুলোর পাঁচ শতাধিক শিক্ষক এখনো এমপিও জটিলতায় ভুগছেন। ভুল তথ্য দেয়া শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ, মহিলা কোটা, নবসৃষ্ট পদ, প্যাটার্ন বহিভূর্ত পদে নিয়োগ সুপারিশ ইত্যাদি জটিলতায় তারা এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না। তবে তাদের জটিলতা নিরসন করা হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মমিনুর রশিদ আমিন।
Discussion about this post