নিজস্ব প্রতিবেদক
বাসমাশিস নেতৃবৃন্দের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার জুম এপসের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মাউশির পরিচালক জনাব প্রফেসর বেলাল হোসেন, সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম টুকু সহ মাউশির মাধ্যমিক শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় বাসমাশিস কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দীন মাহমুদ সালমী সরকারি মাধ্যমিকের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে মহাপরিচালক সহযোগিতা কামনা করে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সমস্যাগুলো হলো- বকেয়া টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড প্রদান, সিনিয়র শিক্ষক থেকে উপ-পরিচালক পর্যন্ত সকল শূণ্যপদে পদোন্নতি, অকার্যকর আত্তীকরণবিধিতে আত্তীকরণ না করে দ্রুত আত্তীকরণবিধি পরিমার্জন, এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড করে নূতন পদসোপান সৃষ্টি, সকল শিক্ষকের গ্রেডেশন লিস্ট, চাকরি স্থায়ীকরণ, এডভান্স ইনক্রিমেন্ট সমস্যার সমাধান, সুনির্দিষ্ট বদলির নীতিমালা প্রণয়ন, বিধিসমুহ সংশোধন সহ সরকারি মাধ্যমিকের বিরাজমান সমস্যা সমুহ তুলে ধরে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে মহাপরিচালক মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন। মহাপরিচালক উক্ত সমস্যার কথা ধৈর্য সহকারে শুনেন এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। তিনি আরো বলেন মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে শিক্ষকদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন বাসমাশিস কেন্দ্রীয় সভাপতি আবু সাঈদ ভূইয়া। করোনাকালীন সরকারি পদক্ষেপের ভূয়সী প্রসংসা করে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।
করোনা’র মহামারীর কারনে শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষাবান্ধব সরকার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শিক্ষামন্ত্রীসহ শিক্ষামন্ত্রণালয় ও মাউশি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় ও তত্বাবধানে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে পরিচালিত “আমার ঘরে আমার স্কুল” প্রোগ্রাম সচেতন মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। উক্ত কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বাসমাশিসের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। উক্ত কার্যক্রমে সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা আন্তরিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া ও প্রায় প্রতিটি সরকারি স্কুল অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে হলে ২০১০ সালের শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন জরুরী বলে শিক্ষকেরা মনে করেন। তাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে শিক্ষা বান্ধব সরকারের যেকোনো পদক্ষেপের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতা, অংশগ্রহণ এবং বাস্তবায়নে সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা বদ্ধ পরিকর। এসএসসি জেএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষাগুলোর ভাল ফলাফলের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য শিক্ষকদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি থাকবেনা বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। দীর্ঘদিন যাবত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারনে সরকারি মাধ্যমিকে বেশকিছু সমস্যা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বর্তমানে যে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তা আরো ফলপ্রসু এবং কার্যকর করার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া বক্তব্য প্রদান করেন মাউশির পরিচালক প্রফেসর বেলাল হোসেন, সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম টুকু, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন সরকার, ময়মনসিংহ অঞ্চলের সভাপতি নাসিমা আক্তার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
Discussion about this post