মুন্নাফ হোসেন
শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। আর এ মানুষ গড়ার হাতেখড়ি পরিবারে শুরু হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। একজন প্রাথমিক শিক্ষক হাতে-কলমে নিজের সন্তানের মত প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মানুষ গড়তে সহায়তা করেন। অথচ এই প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা অবহেলিত, বঞ্চিত। কেননা চাকরী জীবন শেষ হয়ে গেলেও পদোন্নতি পায় না বললেই চলে। সহকারী শিক্ষক হিসেবেই তাকে অবসরে যেতে হয়। একজন সহকারী শিক্ষক বর্তমানে ১৪তম গ্রেডে বেতন পান। ১৩তম গ্রেড ঘোষণা হলেও এখনও কার্যকর হয় নি। সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড পাওয়া যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু তারা বরাবরই আন্দোলন করে আসছেন ১১তম গ্রেড পাওয়ার জন্য। কিন্তু তাদের অধিকার থেকে বারবার বঞ্চিত করা হচ্ছে। সহকারী শিক্ষকরা কলুর বলদের মত শুধু খেটেই যাবেন, বিনিময়ে কিছুই পাবেন না।
প্রাথমিকের শিক্ষকদের শিক্ষকতার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করতে হয়।জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী সম্প্রতি ‘সমন্বিত নিয়োগ বিধিমালা-২০২০’ খসড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে সহকারী শিক্ষকদের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে প্রার্থীতা বাতিল করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে সহকারী শিক্ষকদের শেষ আশাটুকুও নিঃশেষ হয়ে যাবে।
নতুন এ নিয়োগ বিধিমালায় সহকারী শিক্ষকদের প্রধানশিক্ষক পদে পদোন্নতির কথা বলা হয়েছে যা সবার ভাগ্যে জোটে না। কেননা ৫০-৫৫ বছরে প্রধানশিক্ষক হয়ে কাজ করার মনোবল থাকে না। প্রাথমিকে অধিকাংশ শিক্ষক সকল কর্মকর্তা পদে কাজ করার যোগ্যতা রাখে। তাহলে কেন তাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে?
সহকারী শিক্ষকদের প্রাণের দাবী ১১তম গ্রেড ও বিভাগীয় সকল কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মুন্নাফ হোসেন
সহকারী শিক্ষক
মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
ধনবাড়ী, টাংগাইল।
Discussion about this post