নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা সুখবর পেলেন। সহকারী শিক্ষকদের উন্নীত স্কেলে (উচ্চধাপ) বেতন দেওয়ার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বুধবার (১২ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের উন্নীত বেতন স্কেলে বেতন নির্ধারণ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এ বিষয় ও সুত্রোক্ত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশক্রমে জানানাে যাচ্ছে যে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের উন্নীত স্কেলে বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ কর্তৃক নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হলাে-
১. বেতনস্কেল উন্নীত হওয়ার পূর্বে সহকারী শিক্ষক পদধারীদের যিনি যে সংখ্যক টাইমঙ্কেল পেয়েছেন/প্রাপ্য হয়েছেন, উন্নীত বেতন স্কেলের উপরে সেই সংখ্যক টাইমঙ্কেলকে গণনা করে বেতন স্কেল উন্নীত করার অব্যবহিত পূর্বে তার সর্বশেষ আহরিত/প্রাপ্ত মূল বেতনের ভিত্তিতে বেতন নির্ধারণ হবে।
২. বেতন স্কেল উন্নীতকরনের তারিখে টাইমস্কেলসহ নিরূপণকৃত স্কেলে কোন কর্মচারীর বর্তমান মূল বেতন উক্ত স্কেলের সর্বনিম্ন ধাপের কম হলে সর্বনিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণ করতে হবে।
৩. বর্তমান মূল বেতন নিরুপণকৃত স্কেলের সর্বনিম্ন ধাপের চেয়ে বেশী হলে এবং উক্ত স্কেলের কোন ধাপের সমান হলে সেই ধাপে বেতন নির্ধারণ করতে হবে।
৪. বর্তমান মূল বেতন নিরুপণকৃত স্কেলের সর্বনিম্ন ধাপের বেশী হলে এবং উত্ত স্কেলের কোন ধাপের সমান না হলে সে ক্ষেত্রে অব্যবহিত উচ্চতর ধাপে বেতন নির্ধারণ করতে হবে।
এছাড়া স্কেল উন্নীতিকরণের আদেশ জারার পুর্বের কোন বকেয়া প্রাপ্য হবেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হায়াত মােঃ ফিরােজ এ প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘১৩তম গ্রেড দেওয়ার পর আমরা শুরু থেকেই বলে আসছিলাম, আমাদের যেন উচ্চধাপে বেতন দেওয়া হয়। কারণ কোন গ্রেডে বেতন দেওয়া হবে তা উল্লেখ ছিল না। এতে অনেকের বেতন কমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এখন এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমাদের সেই দাবি পূরণ হয়েছে। আমাদেরকে উচ্চধাপেই বেতন দেওয়া হবে। তবে আমাদের মূল যে দাবি, ১১তম গ্রেডে বেতন দেওয়া, সেই দাবি দ্রুত পূরণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
Discussion about this post