নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে বেসরকারি স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির বঞ্চনার অবসান হলো। বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুলের অর্ধেক শিক্ষককে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। সহকারী শিক্ষক পদে যোগদানের ১০ বছর পর সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন। দীর্ঘদিন ধরে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যবস্থা ছিল না। অবশেষে সে জটিলতা কাটছে।
সম্প্রতি এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনী চূড়ান্তকরণের এক সভায় বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুলের ৫০ শতাংশ সহকারী শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো মাহবুব হোসেনসহ এমপিও নীতিমালা সংশোধন কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় এমপিও নীতিমালা সংশোধনের বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং নীতিমালা সংশোধন কমিটির আহ্বায়ক মোমিনুর রশিদ আমিন।
সভা সূত্র জানায়, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক স্কুলে যোগদান করা সহকারী শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি পাচ্ছিলেন না। তাদের পদোন্নতি কোনো ব্যবস্থা ছিল না। দশ বছর চাকরির পর তারা সহকারী প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারতেন। তবে সেই জটিলতা কাটছে। ৫০ শতাংশ সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। এ বিষয়টি নিয়ে নীতিমালা সংশোধনী চূড়ান্তকরণের সভায় আলোচনা হয়েছে। চাকরি ১০ বছর পূর্তিতে এমপিওভুক্ত স্কুলের অর্ধেক শিক্ষককে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি বিধান রেখে এমপিও নীতিমালা সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্ধেক শিক্ষকদেরও পদোন্নতি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সে আলোকেই বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলের ৫০ শতাংশ সহকারী শিক্ষকদেরও পদোন্নতি দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হচ্ছে।
Discussion about this post