নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি কর্মকর্তাদের মতো এই প্রথম বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের জন্য এসিআর চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ সংশোধনী বৈঠকে এসিআর চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারভুক্ত প্রথম শ্রেণির সব কর্মকর্তার বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন প্রতিবছর ৩১ মার্চের মধ্যে নিজ নিজ অধিদফতরে দাখিল করতে হয়। এসিআরের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ (অনুবেদনকারী বা প্রতিস্বাক্ষরকারী) বিগত বছরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সার্বিক কাজের মূল্যায়ন করে থাকে।
বর্তমানে এসিআরে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৫ নম্বরের বেশি পেলে অসাধারণ, ৮৫ থেকে ৯৪ পর্যন্ত অতি উত্তম, ৬১ থেকে ৮৪ উত্তম, ৪১ থেকে ৬০ চলতিমান এবং ৪০ নম্বরের নিচে নিম্নমান হিসেবে ধরা হয়। এ মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ চাকরিকালীন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে। সে কারণে সব কর্মকর্তার জন্যই এই বার্ষিক মূল্যায়ন খুব গুরুত্বপূর্ণ।
গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ সংশোধনের লক্ষ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়টি উঠে আসে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রভাষক থেকে পদোন্নতি পেতে অনুপাত (৫ অনুপাত ২) প্রথা রয়েছে তা বাতিল করে যোগ্যতা নির্ধারণ করে প্রভাষকদের পদোন্নতি দেওয়া হবে। পদোন্নতির বিষয়টি সংশোধিত নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার কারণেই এসিআর চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংশোধিত নীতিমালা জারির পর এসিআর চালু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বৈঠকে উপস্থিতি নন-এমপিও নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘নীতিমালা সংশোধনী বৈঠকে বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের জন্য এসিআর চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনুপাত প্রথা বাতিল করে যোগ্যতা নির্ধারণ করে পদোন্নতি দেওয়া হবে। আর সে কারণেই এসিআর চালু করার জন্য নীতিমালায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে— চাকরির ১০ বছর পূর্ণ হলেই কর্মরত প্রভাষকদের অর্ধেক সহকারী অধ্যাপক হতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে চাকরিতে জ্যেষ্ঠতার জন্য ১৫ নম্বর, প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত হাজিরার জন্য ১০ নম্বর, এসিআরের ওপর ১০ নম্বর, উচ্চতর ডিগ্রির জন্য ১০ নম্বর, গবেষণাসহ বিভিন্ন যোগ্যতার ওপর মোট ১০০ নম্বর যোগ্যতার সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি চূড়ান্ত করতে একটি সাব কমিটি করে দিবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটি যোগ্যতার সূচক নির্ধারণ করে দেবে।
Discussion about this post