নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা জেলার তিন উপজেলার তিন প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রতারণা করে শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তি হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
তিন প্রধান শিক্ষক হলেন, গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ পারভেজ, নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী ও সাভার মানিকচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম।
আদেশে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক সমিতির পক্ষে রিয়াজ পারভেজ, নূরে আলম সিদ্দিকী ও নজরুল ইসলামের যৌথ স্বাক্ষরে সোনালী ও ডাচ বাংলা ব্যাংকে দু’টি হিসাব খোলা হয়। ওই দু’টি হিসাবে নূরে আলম সরকারের অনুমতি বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া প্রধান শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ পরিচয়ে শিক্ষকদের নিকট থেকে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।
শিক্ষকদের টাইম স্কেল ও ১০তম গ্রেড প্রাপ্তির জন্য খরচ করবেন বলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিকট থেকে এ অর্থ আদায় করা হয়। এ ধরনের অনৈতিক কাজের বিষয়ে ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক সতর্ক করলেও তা আমলে নেননি তিনি।
এছাড়া ওপরে শিক্ষক বদলি এবং ডিজিটাল হাজিরা মেশিন নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার করে ভাইরাল করছেন এবং চাঁদার অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার এসব কর্মকাণ্ডে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।
এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকীকে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা মোতাবেক অসদচারণ ও দুনীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিধি মোতাবেক তিনি নির্ধারিত ভাতা পাবেন। আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবেও বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। একই কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে প্রধান শিক্ষক রিয়াজ পারভেজ ও নজরুল ইসলামকে।
ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষকদের সর্তক করার পরও শিক্ষকদের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া শিক্ষক বদলি ও বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়-সংক্রান্ত অপপ্রচার করায় তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
Discussion about this post