নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। শূন্য থাকা ৫৭ হাজার ৩৬০ জন সহকারী শিক্ষকের পদে এ নিয়োগ দেয়া হবে। এসব পদের তালিকা সংগ্রহ করে চূড়ান্তও করা হয়েছে। তবে আদালতের আদেশে এ নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসব পদে শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে আপিল করা হবে বলে এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তালিকা নেওয়া হয়েছে। তালিকায় দেখা গেছে, বিভিন্ন বিষয়ে ৫৭ হাজার ৩৬০টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে এ তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনুমোদিত শূন্য আসনের সংখ্যা পেলেও আদালতের নির্দেশনায় নিয়োগ শুরু করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘১৩তম নিবন্ধিত প্রার্থীদের মেধাক্রমে নিয়োগ শুরু করতে আমরা নতুন করে আদালতে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চলতি সপ্তাহে আপিল করা হবে। আদালত থেকে নির্দেশনা পেলে তৃতীয় ধাপে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।’
সূত্র জানায়, আদালতের নির্দেশনায় ২০১৭ সালে মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। নিবন্ধিত প্রার্থীদের ওই তালিকা মোতাবেক নিয়োগ দিতে নির্দেশনা দিয়ে এমপিও নীতিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশন ১৩তম নিবন্ধিত প্রার্থীদের সরাসরি নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন।
এতে সিদ্ধান্ত দুটি হওয়ায় শূন্য পদের তালিকা চূড়ান্ত হলেও শিক্ষক নিয়োগ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনটিআরসিএ। জানা গেছে, ১৫তম পর্যন্ত নিবন্ধিত মেধা তালিকায় ছয় লাখ ৩৪ হাজার জন রয়েছেন। এর মধ্যে এক লাখ ৮২১ জনের বয়স শেষ হওয়ায় তারা নিয়োগের সুযোগ পাবেন না।
তবে ৩৫ বছরের মধ্যে আরও দুই লাখ ৮৮ হাজার প্রার্থী রয়েছেন। তাদের অনেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়েছেন। তবে প্রার্থীদের বড় অংশই নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন। মামলা জটিলতায়ও অনেকের বয়স পার হয়েছে।
Discussion about this post