শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কোর সদস্যভুক্ত প্রতিটি দেশে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর এদিনে দিবসটি উদযাপন করা হয়। করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে আজ যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শিক্ষকদের মর্যাদা ও মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা, শিক্ষকদের অধিকার সম্পর্কে জানানো, মানসসম্মত শিক্ষা তথা সকল শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আলোকপাত করা এবং প্রবীণ শিক্ষকদের অভিজ্ঞতাকে জানা ও কাজে লাগানোই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য।
১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ সভায় ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবার দিবসটি পালন করা হয়। তবে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বিভিন্ন দেশে শিক্ষকরা মোটা দাগে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন শুরু করেন। ইউনেস্কোর অনুমোদনে প্রতিবছর পৃথক প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
ইউনেস্কোর মতে, শিক্ষা ও উন্নয়নে শিক্ষকরা বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। মানুষের মধ্যে সচেতনতা, উপলব্ধি সৃষ্টি ও শিক্ষকদের ভূমিকার স্বীকৃতিস্মারক হিসেবে দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ। মানবিক বিপর্যয় বা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে আক্রান্ত হয়েও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিনির্মাণে শিক্ষকরা তাদের ভূমিকা রেখে চলেছেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি এক ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করেছে। সভাপতি জহিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার এ সভায় অংশ নেবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: মাহবুব হোসেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক এতে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন।
দুপুর দেড়টায় ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস : প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে শিক্ষকের মর্যাদা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করেছে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ।
এদিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক সমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ লিয়াঁজো ফোরাম।
Discussion about this post