নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষক দিবসের আলোচনায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতেই বেশি জোর দিলেন। সোমবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস: প্রেক্ষিত বাংলাদেশে শিক্ষকের মর্যাদা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় নন-এমপিও প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে জোর দেন তিনি। ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নতুন করে এমপিও দিতে গ্রামাঞ্চলের জন্য শর্ত শিথিল করা হবে।
শিক্ষক দিবসের আলোচনায় জাতীয়করণের এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা জাতীয়করণের কথা বলেছেন, এটার সঙ্গে সরকারের আর্থিক অনেক বড় সংশ্লিষ্টতাই শুধু নয় নীতিগত সিদ্ধান্তও জড়িত। কাজেই এই মুহূর্তে এটির ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য না করতে পারলেও শিক্ষায় যে সবচেয়ে বড় নিয়োগ হতে হবে সেটা আমি মনে করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালে বলেছিলেন, জাতীয় আয়ের অন্তত পক্ষে ৪ শতাংশ শিক্ষায় বিনিয়োগ হওয়া জরুরি।
শিক্ষকদের সমস্যা ও জাতীয়করণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে আছেন, তারা যে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন তা মোটামুটি সম্মানজনক। আর বেসরকারি শিক্ষায় আমাদের বহু বিভাজন রয়েছে। সেখানে যারা এমপিওভুক্ত তাদের বেতন কাঠামো আমরা যেভাবে আশা করি, যেভাবে সম্মানজনক জীবন রক্ষা করতে পারেন, হয়তো সেটা এখনও যথেষ্ট নয়। কিন্তু তারপরও তারা সামলে নিচ্ছেন। কিন্তু যারা এমপিওভুক্ত নন, তাদের অবস্থা অমানবিক। তাদের জীবন ধারণ অনেক সময় কষ্টদায়ক। তাদের শিক্ষকতার পাশাপাশি তাদের অনেক ধরনের কাজে সম্পৃক্ত হতে হয়, সেটা হয়তো তার পেশার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, সম্মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। মুজিববর্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ঘোষণার দাবি করেন শিক্ষক নেতারা।
Discussion about this post