বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুসংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যবসা করছেন। কেউ কেউ একাধিক প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদবি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়তি সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ জারি করেছে। ওই নোটিশে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ব্যবসা করতে পারবেন না শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই নোটিশ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা। তাঁরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার আগেই তাঁরা ব্যবসা করছেন। কেউ উত্তরাধিকার সূত্রে পারিবারিক ব্যবসা বা ঠিকাদারি করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আবু তাহের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগতভাবে কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা বা কোনো ধরনের লাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারবেন না। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ এসব কাজে জড়িত থাকলে তা চাকরি বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। চাকরি বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগ, অনুসরণ ও প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো হয়।
অপর একজন শিক্ষক বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৬ সালে। তার আগেই থেকে তিনি ব্যবসা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর লালমাই পাহাড়ে জমি কিনেছেন তিনি। এটা তো অন্যায় নয়। এখানে অনুমতির কী আছে? ছাত্রনেতারাও নামে-বেনামে জায়গা কিনেছেন। তাঁদের তো প্রশ্রয় দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষকদের বেলায় কী সমস্যা?
উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হোটেল ব্যবসা করবেন কেন? জমির ব্যবসা করবেন কেন? সবাইকে চাকরিবিধি মোতাবেক কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন মোতাবেক চলতে হবে।
Discussion about this post