নিজস্ব প্রতিবেদক
যে সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ক্লাসের পড়ানো ফাঁকি দিয়ে কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে সুবিধা নেন তাদের সতর্ক করেছে সংসদীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) একাদশ জাতীয় সংসদের ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১০ম বৈঠকে একথা জানানো হয়।
কমিটির সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মহিবুল হাসান চৌধুরী, মো. আব্দুল কুদ্দুস, ফজলে হোসেন বাদশা, মো. আবদুস সোবহান মিয়া ও গোলাম কিবরিয়া টিপু বৈঠকে অংশ নেন।
কারিগরি শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে প্রতি উপজেলায় অন্তত একটি করে টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষক স্বল্পতা নিরসনের লক্ষ্যে শূন্য পদে নিয়োগের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। যে সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ক্লাসে পড়ানো ফাঁকি দিয়ে কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে সুবিধা নেন তাদের এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়।
বৈঠকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈঠকে ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ বিলটি আরো পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন সাপেক্ষে জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে দুর্বল বিল্ডিং চিহ্নিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিত্যক্ত ভবন অপসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়কে জোরালো ভূমিকা পালনের সুপারিশ করা হয়।
শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তিত/প্রস্তাবিত কারিকুলাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। শিক্ষাকে অত্যন্ত কার্যকর ও যুগোপযোগী করার বিষয়ে সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করা হয়। উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের লক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষা কারিকুলামের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে একটি খসড়া প্রস্তুতের কার্যক্রম চলছে। শিক্ষাব্যবস্থা জোরদার করার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।
Discussion about this post