নিজস্ব প্রতিবেদক
টাইম স্কেল দিতে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। পুনর্বিবেচনা না করা হলে আন্দোলন বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা। গত ১৫ অক্টোবর অর্থ বিভাগের চিঠি প্রত্যাহার করে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার দাবিতে এখন থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।
গত ১৫ অক্টোবর অর্থ বিভাগ থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, তৃতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় চাকরি সময় ধরে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত প্রধান শিক্ষকদের টাইম স্কেল দেওয়া হবে না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে বিধায় তৃতীয় শ্রেণির চাকরিকালের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিকাল গণনা করে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯-এর ৭(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তারা টাইম স্কেল প্রাপ্য হবেন না।
দীর্ঘদিন টাইম স্কেল বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের অসন্তোষ ঠেকাতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় টাইম স্কেল দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চেয়েছিল। অর্থ বিভাগ তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে গত ১৫ সেপ্টেম্বর।
উল্লেখ্য, টাইম স্কেল প্রদানের ক্ষেত্রে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯-এর ৭(১) অনুচ্ছেদ এবং দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য ৭(২)নং অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘দেশের সব ডিপার্টমেন্ট টাইম স্কেল পেয়েছে। আমরা তৃতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় ছিলাম। কারণ, দুই পদমর্যাদা (তৃতীয় ও দ্বিতীয় শ্রেণি) যুক্ত করে টাইম স্কেল দেওয়া হবে না বলা হয়েছে।’
মো. আবুল কাসেম আরও বলেন, ‘যেসব শিক্ষকের টাইম স্কেল পেতে ৭ দিন দেরি ছিল তাদের থেকে শুরু করে সাত বছরের বেশি সময় যাদের হয়েছিল তারা কেউই টাইম স্কেল পাবেন না। কিন্তু আমরা আগেও প্রধান শিক্ষক ছিলাম এখনও প্রধান শিক্ষক আছি। দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দিয়ে বাইনেম গেজেট জারি হয়নি। আগেও যে বেতন কোডে পেতাম এখনও সেই কোডেই বেতন পাচ্ছি। তাই টাইম স্কেল দেওয়ার জন্য পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাবো। যদি না পাই সেক্ষেত্রে সাংগঠনিকভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো মামলা ও আন্দোলন করার বিষয়ে।’
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগে ২০১৪ সালের সালের ৯ মার্চ প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় শ্রেণি হওয়ার পর থেকে টাইম স্কেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অর্থ বিভাগ।
Discussion about this post