জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
নিয়োগবিধি সংশোধন ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ দশ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শনিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির ‘সাগর রুনি’ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন হুঁশিয়ারি দেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত প্রাপ্য টাইমস্কেল প্রদান বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত ২০২০ সালের পত্র প্রত্যাহার করতে হবে।
এসময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠনের সভাপতি ওয়েছ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে মূল বক্তব্য পাঠ করেন মহা-সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। আরও বক্তব্য রাখেন নির্বাহী সভাপতি মোঃ জাহিদুর রহমান বিশ্বাস, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহা-সম্পাদক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুর রহমান প্রমুখ।
শিক্ষকদের দশ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদোন্নতি প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল প্রদানসহ অন্যান্য প্রধান শিক্ষকদের ২০১৪ সালের ৯ মার্চ হতে পরের বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের প্রাপ্য টাইমস্কেল প্রদানের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পত্রটি জরুরি ভিত্তিতে প্রত্যাহার করে টাইমস্কেল প্রদানের ব্যবস্থা করা; (ক) বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের যোগ্যতা ও দায়িত্বের কথা বিবেচনা করে ৮ম গ্রেডে উন্নীত করা, (খ) সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টিসহ ৯ম গ্রেডে বেতনস্কেল নির্ধারণ করা, (গ) স্নাতক/স্নাতকোত্তর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রেক্ষিতে সংগত কারণেই সহকারি শিক্ষকদের বেতনস্কেল বর্তমান বেতনস্কেলের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা।
এছাড়া চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা করা; সমন্বিত নিয়োগ বিধিতে শুধুমাত্র সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করে উক্ত পদ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের সর্বোচ্চপদ পর্যন্ত শর্তহীনভাবে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা; প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কীয় বিভাগীয় নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা; সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের অবিলম্বে নন-ভোকেশনাল কর্মচারী হিসাবে ঘোষণা করে অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা; অবিলম্বে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা কার্যকর করা।
পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক দুদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা ও দিনে সর্বোচ্চ চারটি পিরিয়ড পাঠদানের ব্যবস্থা করা; সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টিবোর্ড কার্যক্রম গতিশীল করা এবং শিক্ষকদের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রশিক্ষণে শুধুমাত্র শিক্ষকদের মধ্যে থেকে প্রশিক্ষক নির্বাচন, শিক্ষকদের বিনোদন ভাতার জটিলতা নিরশন, প্রশিক্ষণের পর উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করা।
Discussion about this post