বিশেষ প্রতিবেদক
সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সফটওয়্যার ‘আইবাস প্লাস প্লাস’ মডিউল অনুযায়ী ১৩তম গ্রেডের নিম্নধাপে সহকারী শিক্ষকদের বেতন নির্ধারিত রয়েছে। ফলে ১৩তম গ্রেডের উচ্চধাপে শিক্ষকরা নিজেদের বেতন নির্ধারণ করতে পারছিলেন না। এতে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিলে সফটওয়্যার আপডেট করে অর্থ বিভাগকে এই সমস্যা সমাধান করতে অনুরোধ জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থ বিভাগ সফটওয়্যার ‘আইবাস প্লাস প্লাস’ মডিউলের সিস্টেমে প্রাথমিক শিক্ষকদের উচ্চধাপে মূল বেতন নির্ধারণের বিষয়টি সংযোজন করতে সম্মত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিস হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের উচ্চধাপে নির্ধারিত বেতন নির্ধারণে প্রয়োজনীয় অপশন সফটওয়্যারে সংযোজন করার অনুরোধ জানায়। কিন্তু এক মাস হয়ে গেলেও তা করা হয়নি। ফলে অক্টোবর মাসের বেতন নির্ধারণ শিক্ষকরা জটিলতার শিকার হবেন।
দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৫২ হাজার সহকারী শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে বেতনের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছিলেন। এরপর ১৩তম গ্রেডে এসব শিক্ষকের বেতন নির্ধারণ করে সরকার। গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নিয়ম অনুযায়ী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির পর সহকারী শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ করা হয় নিম্নধাপে। কিন্তু গ্রেড অনুযায়ী বেতন নির্ধারণের পর দেখা যায়, বিদ্যমান বেতনের চেয়ে শিক্ষকরা কম বেতন পাচ্ছেন। এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘আট মাস আগে উচ্চতর গ্রেড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সফটওয়্যার জটিলতার কারণে আজ পর্যন্ত শিক্ষকদের বেতন ফিক্সেশন করা যাচ্ছে না। আমরা আশা করবো দ্রুত এ বিষয়টির সমাধান হবে।’
Discussion about this post