বিশেষ প্রতিবেদক
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯’ পদক তালিকায় প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেশের সেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম।
গত সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-২) শামীম আরা নাজনীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে একই অনুষ্ঠানে মো. শহিদুল ইসলাম প্রথমে বালিয়াকান্দি উপজেলা পর্যায়ে এবং পরে রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়।
এর পর ঢাকা বিভাগের সেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি দেশের সেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন।
শহিদুল ইসলাম ১৯৭১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিজ্ঞান বিভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন এবং ২ ডিসেম্বর ১৯৯৮ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে প্রথম যোগদান করেন।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৮তে স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জেলার সেরা প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়।
মো. শহিদুল ইসলাম ১৯৭১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মো. শহিদুল ইসলাম বিজ্ঞান বিভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর পাস করেন। তিনি ২ ডিসেম্বর ১৯৯৮ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরীতে প্রথম যোগদান করেন। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৮’তে তার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জেলার সেরা প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়। দেশের মধ্যে তিনি প্রথম তার বিদ্যালয়ে ‘সততা ষ্টোর’ নামের বিক্রেতাবিহীন দোকান প্রতিষ্ঠা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ২০১৬ সালে তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলার প্রথম শিক্ষক হিসেবে সরকারী জিও তে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমন করেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সাল হতে ৬ বছর যাবত মো. শহিদুল ইসলাম কোন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করেননি।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে ছয় বছর ধরে মো. শহিদুল ইসলাম কোন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করেননি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি তিনি নিজে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা বিদ্যালয়টিতে অনুদান হিসেবে দিয়েছেন।
তার বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, গ্রন্থাগার, নামাজ ঘর, শহীদ মিনার, উপকরণ কর্নার, মিনা রাজু পার্ক, পতাকা মঞ্চ, ভূগোলক, রিডিং কর্নার, হাসান আলী স্কয়ার, আমাদের ভুবন, পশুপাখির ম্যুরালসহ নানাবিধ স্থাপনা স্থানীয়ভাবে সম্পন্ন করেন।
তিনি যোগদানের পর বিদ্যালয়টিতে ইর্ষণীয় সাফল্য পায় শিক্ষার্থীরা। সমাপনীতে ভালো ফল লাভের জন্য তিনি বিদ্যালয়ের সময়সূচির বাইরে বৈকালিক/নৈশকালীন বিদ্যালয় চালু করেছেন।
শহিদুল ইসলাম তার এই সাফল্যের পেছনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
শহিদুল ইসলাম বলেন, এই সাফল্যের পেছনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
Discussion about this post