বিশেষ প্রতিবেদক
২০১৮ সালের প্রাথমিকের নিয়মিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ৪৩ দিন ধরে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন। যেখানে অনশন গড়িয়েছে ৩৪ দিনে।
কর্মসূচি পালনকালে ২০১৮ সালের নিয়মিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগ প্রার্থীরা তাদের দুর্দিনের কথা তুলে ধরেন। এসময় বক্তারা জানান, ২০১৮ সালের নিয়মিত শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ২৪ লাখ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন। শূন্যপদ বাকি রেখেই নিয়োগ দেওয়া হয় মাত্র ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ১৪৮ জন প্যানেলভুক্তির অপেক্ষায় থাকলেও তাদের বিষয়ে কোনও বিবেচনা করা হয়নি।
২০১৮ সালের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশী কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের জানান, ২০১৪ সালে স্থগিত করা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জনকে প্যানেলে নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে রাজধানীসহ জেলায় জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হয়। সংসদ সদস্যদের ডিও নিয়ে মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তাদের ‘যৌক্তিক’ দাবি এখনও আলোর মুখ দেখেনি। তাই দাবি আদায় না হলে আরও কাঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
Discussion about this post