নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে আবেদনের তিন মাস পর নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। তবে নানা জটিলতায় চলতি অর্থবছরে (জুনের মধ্যে) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রিট হওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্রমতে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর আবেদন প্রক্রিয়া শেষে জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। তবে শীতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ করোনা পরিস্থিতির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ বাতিলের দাবিতে রিট করা হয়েছে। যার ফলে এখনই পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রিট নিষ্পত্তি ও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। চলতি অর্থবছরের আগে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব কিনা সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এম মনসুর আলম বলেন, পরীক্ষা গ্রহণে প্রস্তুতি প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনও লিখিত পরীক্ষার সূচি নির্ধারণ করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ধাপে ধাপে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে।
ডিপিইর সহকারী পরিচালক আতিক বিন সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আবেদনকারীর সংখ্যার ভিত্তিতে কয় ধাপে পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মোট শূন্যপদের চেয়ে তিনগুণ বেশি প্রার্থী পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন শেষ হলেও সংশোধন প্রক্রিয়া চলছে। দ্বিতীয় দফায়ও আবেদনের তথ্য সংশোধন করার সুযোগ দেয়া হবে।’ চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে আগেই প্রথম দফায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনে তথ্যগত ভুল সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। গত ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের ভুল সংশোধনের সুযোগ পান। নতুন করে দ্বিতীয় দফায় এ সুযোগ দেয়া হবে বলে অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।
Discussion about this post