শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে কিন্ডারগার্টেন পর্যন্ত শিক্ষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এজন্য আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন শুরু হয়েছে শিক্ষকদের। দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১০ লাখ ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরাও পাবেন ভ্যাকসিন। এরইমধ্যে দেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের তালিকা জমা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরে। এ ছাড়াও স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও দেওয়া হচ্ছে তালিকা।
তবে যেসব শিক্ষকদের বয়স চল্লিশের কম, তাদেরকে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য তালিকা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদফতর বা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও ভ্যাকসিন যাতে দ্রুত পেতে পারেন, সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
সূত্র আরও জানায়, কূটনীতিক, বিদেশি নাগরিক ও বিমানের কেবিন ক্রুদেরও অল্প সময়ের মধ্যেই ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ যখন খুলে দেওয়া হবে, তখন শিক্ষকদের ব্যস্ত থাকতে হবে পাঠদানের জন্য। তাদের সুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের পারিবারিক সুরক্ষার বিষয়টিও এখানে এসে যাবে।
তিনি বলেন, ‘তারা তো স্কুলে বা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন যাবেন, তখন কিছুটা ঝুঁকি তো থাকেই আক্রান্ত হওয়ার। আর তাই তাদের সুরক্ষিত করা গেলে তাদের পরিবারও সুরক্ষিত করা যাবে।’
শিক্ষকদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘এক্ষেত্রেও একটি চ্যালেঞ্জ থাকে। কিন্তু আমরা মনে করি যদি ৪০ বছরের কম বয়সী শিক্ষকদের তালিকা শিক্ষা অধিদফতর বা মন্ত্রণালয় থেকে যদি আমাদের কাছে দেওয়া হয় তবে তাদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে সহজে।’
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমাদের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সেন্টার (এমআইএস) বিভাগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হলে তারা সার্ভারে ডাটা এন্ট্রি দেবে। পরবর্তীতে ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী শিক্ষকরা নিবন্ধন করে নিতে পারবেন।’
Discussion about this post